ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সামিয়া রহমানের মামলা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২১, ১৯:৩৮

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সামিয়া রহমানের মামলা

এলেক্স মার্টিন নামে এক বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান।

বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে সামিয়া রহমান মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে এ বিষয়ে পরে আদেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম এ তথ্য জানান।

অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সামিয়া রহমান এবং ক্রিমোনলজি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে প্লেজারিজমের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি শিকাগো জার্নালের ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ই-মেইলের ভিত্তিতে সামিয়া রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক থেকে অবনমিত করে সহকারী অধ্যাপক করে যে শাস্তির সুপারিশ করে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া, বানোয়াট এবং সৃজিত।

আরও বলা হয়, ওই তারিখে শিকাগো জার্নাল থেকে অফিসিয়ালি সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোনো ই-মেইল কখনোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-মেইলে পাঠানো হয়নি। এলেক্স মার্টিন বলে শিকাগো জার্নালে কেউ কখনো কাজ করেনি। এমনকি শিকাগো প্রেসেও এলেক্স মার্টিন বলে কোনো ব্যক্তি নেই। সামিয়া রহমান তার ফেসবুক আইডি শিকাগো জার্নালের অফিসিয়াল এডিটর ক্রেইজ ওয়াকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্তের তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চান। ক্রেইজ ওয়াকার জানিয়েছেন, এলেক্স মার্টিন বলে কেউ কখনো শিকাগো জার্নালে ছিল না, কেউ নেই এবং তার নামে কোনো ই-মেইল আইডি নেই।

সামিয়া রহমানের অভিযোগ, বিবাদীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রতারণা করে তার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ করেছে। তিনি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

সামিয়া রহমান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, তাকে ষড়যন্ত্র করে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তাকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাননি। সংবাদ সম্মেলনেও সামিয়া দাবি করেছিলেন, শিকাগো জার্নালের অ্যালেক্স মার্টিন নামে যে ব্যক্তির চিঠির (ই-মেইল) কথা বলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে, পদাবনতি করা হয়েছে, সেই চিঠিটি আদতে ভুয়া।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত