ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

কোভিড-১৯: সাফারি পার্ক বন্ধ রাখার আবেদন

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২১, ০৫:২৩

কোভিড-১৯: সাফারি পার্ক বন্ধ রাখার আবেদন
ছবি- সংগৃহীত

দেশে করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি এবং দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক বন্ধ রাখার জন্য পার্ক প্রকল্পের পরিচালকের কাছে আবেদন করেছেন পার্কের ইজারাদারেরা।

পার্ক প্রকল্প পরিচালক ও বন সংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির জানান, তিনি পার্কের মেইন গেইট এবং কোর সাফারি পার্ক অংশের ঠিকাদারদের কাছ থেকে ওই আবেদন পেয়েছেন। এ আবেদন পাওয়ার আগেও করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সাফারি পার্ক কিছু দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন তারা।

তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা চলছে। অতি শীঘ্রই এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কারণ পার্কটি খোলা থাকলে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে অসাবধানতাবশত: অনেক পর্যটক তথা দর্শনার্থীদের সেখানে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

পার্কের মেইন গেটের ঠিকাদার নাহিদা অ্যাডভার্টাইজিং এন্ড প্যাকেজিং-এর স্বত্বাধিকারী নাহিদা ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ডিউটিকালে পার্কের টিকেট কাউন্টারে দায়িত্বরত কর্মী মো. হাসিব এবং আমার ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমতাবস্থায় পার্কের প্রাণী ও স্টাফদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখতে এ পার্কটি সাময়িক বন্ধ করার জন্য আবেদন করেছি।

‘‘এছাড়া করোনা সংক্রমণের কারনে পার্কে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। এতে আমাদের রাজস্ব কিস্তির জন্য দৈনিক ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় হওয়ার টার্গেট থাকলেও বর্তমানে আয় হচ্ছে মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।’’ এমতাবস্থায় তিনি রাজস্ব মওকুফ ও প্রণোদনার দাবিও জানিয়েছেন।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান, পর্যটন মৌসুমে পার্কে দৈনিক ১০-১৫ হাজার দর্শনার্থী আসলেও করোনা সঙ্কটের কারণে তা কমে গেছে। গত মঙ্গলবার ৮০০ এবং বুধবার ৩০০ এর মতো দর্শনার্থী এসেছিলেন।

তিনি আরও জানান, করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের ২০ মার্চ থেকে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্কটি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখা হয়। ওই সময়ে সরকার পাওনা রাজস্ব মওকুফ করাসহ তাদের চুক্তির মেয়াদও সমপরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তবে গত গত বছরের নভেম্বর থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত খোলা থাকায় পার্কের ইজারাদাররা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পেরেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত