সালথার ঘটনায় নিহত এক, থমথমে অবস্থা

করোনা মোকাবিলায় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে গিয়ে ফরিদপুরের সালথায় মানুষজনকে পেটানো হয়েছে- এমন অভিযোগে গতকাল সোমবার রাতে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে হামাল চালায় স্থানীয়রা। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি-এসি ল্যান্ড) গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লোকজনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা এলাকায়।

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগুন

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহত যুবকের নাম জুবায়ের (২২)। তিনি রামকান্তপুর ইউনিয়নের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে মরদেহটি উদ্ধার করা যায়নি। মরদেহটি পরিবারের কাছে আছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের গ্যারেজে থাকা দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

গতকাল বিকেলে উপজেলা সদর থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরের ফুকরা বাজার থেকে ঘটনার সূত্রপাত। স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, করোনাকালের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে দুই আনসার সদস্য ও ব্যক্তিগত সহকারীকে নিয়ে এসি ল্যান্ড মারুফা সুলতানা ফুকরা বাজারে যান। সে সময় চা পান করতে আসা জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে লাঠিপেটা করা হয়েছিল বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ।

এই ঘটনার জেরে পরে ফুকরা বাজারে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এমন গুজবে শত শত মানুষ গিয়ে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করেন।

সালথা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

পুলিশের ভাষ্য, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সালথায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা শটগানের ৫৮৮টি গুলি ও ৩২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আরো পড়ুন

লকডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, থানা ঘেরাও

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ