ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মেম্বারদের

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৪৩

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মেম্বারদের
ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের দুই সদস্য। আশরাফুল আলম ও তহিদুল ইসলাম নামে ওই দুই ইউপি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভা না করাসহ সুনির্দিষ্ট ৮টি অভিযোগ উল্লেখ করে গত রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

তবে চেয়ারম্যানের দাবি, তার কাছে ঝামেলা মনে হওয়ায় তিনি মাসিক সভা করেন না।

প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে সঙ্গে নিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থ বছরে টিআর, কাবিখা, এডিপি, এলজিএসপি, নন- ওয়জে প্রকল্প গুলোতে নিজেই প্রকল্প চেয়ারম্যান হয়ে নামমাত্র কাজ করে ভুয়া বিল ভাউচার জমা দিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেন। নানা অজুহাতে বসত বাড়ির কর আদায় করলে তা উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় না করে ইউপি সচিবসহ ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কয়েদ। ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, শিশু ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরিতে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় না করে নিজের মত তালিকা তৈরি করে উপজেলা প্রশাসনের নিকট জমা দিয়ে আসছেন। প্রতিমাসে মাসিক সভা করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করার নিয়ম থাকলেও তিনি কখনোই মাসিক সভা করেন না। কৃষি বিভাগ থেকে বীজ-সার বিতরণ ও জনস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নলকূপ বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। যার সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ নিজেই জড়িত। বিভিন্ন সময় এসব বিষয়ে তথ্যের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা সচিবের কাছে গেলে সচিবও তথ্য দিতে টালবাহানা করেন।

অভিযোগকারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আশরাফুল আলম ও তহিদুল ইসলাম জানান, আমরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে নানা সময় আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। আমরা অনেকটা বাধ্য হয়ে আমাদের অধিকার পেতে ও দুর্নীতি বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছি।

ডাউয়ারাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ বলেন, আমার কাছে ঝামেলা মনে হওয়ায় আমি মাসিক সভা করি না। দুই-তিনজন সদস্য বিভিন্ন সময় আমার বিরুদ্ধে নানা যড়ষন্ত্র করেন। আমি সবসময় সবার সঙ্গে কথা বলে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা যড়ষন্ত্রের অংশ মাত্র।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, অভিযোগে বেশকিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত