বৈশাখে থাকছে না মঙ্গল শোভাযাত্রা
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৭:১৫ আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৮:৪৪
বাংলা বর্ষপঞ্জীর প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। এই দিনটির অন্যতম আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। বছরের প্রথম দিনটিকে স্মরণ করতে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয় এ মঙ্গল শোভাযাত্রা।
তবে এ বছর করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং লকডাউন বিবেচনা করে পহেলা বৈশাখে ঢাবি ক্যাম্পাসে সশরীরে কোনো মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাবি কতৃপক্ষ। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে কোনো ধরণের মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গণজমায়েত করা যাবে না।
তবে প্রতীকী কর্মসূচি হিসেবে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি মঙ্গল শোভাযাত্রার বিভিন্ন মুখোশ ও প্রতীক ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রদর্শন ও সম্প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
দিবসটিকে সামনে রেখে চারুকলা অনুষদের সামনের প্রাচীরে রং তুলির খোঁচায় আঁকা রং-বেরঙের আল্পনা। এসব কার্যক্রম চারুকলা চত্বরেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা না হওয়ায় প্রতীকী কর্মসূচি হিসেবে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সবাইকে ঘরে বসে বৈশাখ উপভোগের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, করোনা মহামারীর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সকলকে ধৈর্য ও মনোবল ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্ব করোনামুক্ত হোক, এই কামনা করে তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্যসহ দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, মাস্ক পরিধান এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ জানান।
১৯৮৫ সালে যশোরে প্রথম শুরু হয় এ শোভাযাত্রা। পরে আস্তে আস্তে এটি উৎসবে পরিণত হয়। এ দিনটি এলেই সবাই মেতে উঠে পান্তা ভাত আর ইলিশ খেতে। বৈশাখ এলেই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একাকার হয়ে যায়। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে