ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

যানজটে বিরক্ত হয়ে ট্রলিচালককে লাথি, সংঘর্ষে আহত ১৭

  নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২১, ২০:৫৪  
আপডেট :
 ১২ এপ্রিল ২০২১, ২০:৫৮

যানজটে বিরক্ত হয়ে ট্রলিচালককে লাথি, সংঘর্ষে আহত ১৭
আহতরা চিকিৎসা নিচ্ছেন

নেত্রকোনার মোহনঞ্জ উপজেলায় হাওর থেকে বোরো ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত হ্যান্ডট্রলি যানজটে আটকে যায়। পরে মেজাজ খারাপ হয়ে অপর ট্রলির চালককে লাথি মারে (২৫) নামে এক ব্যক্তি। শুধু লাথি মেরেই ক্ষান্ত হননি মারধরও করেন অপু। এ ঘটনায় পরে পরেরদিন একই গ্রামের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ১৭ জন আহত হয়েছেন বলে গেছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের দুই মহল্লা বাঘাপাড়া ও পশ্চিমপাড়ার লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ঘের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা দু'পক্ষের আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

আহতরা হলেন, তেুতলিয়া গ্রামের বাঘাপাড়ার সোহেল মিয়া (৩৫), এরশাদ মিয়া (৩২), রেহান মিয়া (৪৫), সুলতান মিয়া (৩০), শাহীন মিয়া (৪৩), শামীম মিয়া (৪৫), জাহাঙ্গীর মিয়া (২৯), হাকিম মিয়া (৪৬), আবেরের মা (৭৫), আয়েশা আক্তার (৪৫), দারগ আলী (৫২), বাবুল মিয়া (৩৮), কাজল মিয়া (৩২)।

অপরদিকে পশ্চিমপাড়ার অপু মিয়া (২৫), আনু মিয়া (২৪), মেহেদি হাছান ইদ্রিসী (৫৫) ও মাজু মিয়া (২৫)।

মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট মো. শহীদউল্লাহ বলেন, এ পর্যন্ত ১৭ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। অনেকে প্রাথমকি চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। অনেক মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাদে এক্সরে করতে দেয়া হয়েছে। এক্সরের রিপোর্টের ভিত্তিতে ভর্তিসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে হাসপাতালে অপুপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এ পক্ষের সবাই বাড়ি চলে গেছে বলে জানা যায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় তেতুলিয়ার পশ্চিমপাড়ার অপু মিয়া (২৫) হ্যান্ডট্রলিতে করে হাওর থেকে বোরো ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথের মধ্যে গ্রামের বাঘাপাড়ায় তার হ্যান্ডট্রলিটি যানজটে আটকে যায়। এ সময় মেজাজ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানজটে আটকা অপর ট্রলির চালক বাঘাপাড়ার সুমন মিয়াকে লাথি মারে ও মারধর করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য হাতাহাতির পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সমাঝোতা হয়ে সবাই বাড়ি চলে যায়।

ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সোমবার সকালে অপু মিয়া তার লোকজনসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বাঘাপাড়ায় বাড়িঘর ও ধানের আড়তে অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের রাম য়য়ের আঘাতে ও ইটপাটকেলে কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এসব তথ্য জানিয়ে বাঘাপাড়ার মালেক ও হাসেম মিয়াসহ অনেকেই জানান, সকালে অপু লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের লোকজন তখন হাওরে ধান কাটছিল। আমরা প্রাণ বাঁচাতে শুধু প্রতিহত করেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় তারা।

অপরপক্ষের অপুর মামা মো. শহীদুল ইসলামসহ অনেকে জানায়, অকারণে আমার ভাগ্নেকে মারধর করায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই পাড়ার লোকজনই আমাদেরকে আগে হামলা করেছে।

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আহাদ খান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৭টা) কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত