ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

আজ পহেলা বৈশাখ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০  
আপডেট :
 ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৫৪

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ বুধবার পহেলা বৈশাখ। চৈত্রসংক্রান্তির মাধ্যমে ১৪২৭ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হল নতুন বছর ১৪২৮। কিন্তু গতবারের মত এবারো ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে এলো অসাম্প্রদায়িক এই উৎসব।

মন খারাপ করা এ সময়ে তাই ঘরে থেকেই বৈশাখ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজধানীবাসী। নাচ আর গানে প্রথম সূর্যোদয় কিংবা নববর্ষের প্রথম দিনে মেলা এবং এখানে সেখানে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছেটা এবারও শিকেয় তুলে রাখতে হচ্ছে। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই দেশ যাচ্ছে ‘কঠোর’ লকডাউনে। ফলে বাধ্যতামূলক ঘরবন্দী জীবনে এবার ঘরোয়াভাবে উদযাপন করতে হচ্ছে বাঙালির সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এবার জনসমাগম এড়িয়ে ভার্চুয়ালি নববর্ষ উদযাপনের নির্দেশনা রয়েছে সরকারের। গতবারের মত এবারো হচ্ছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেলে এবার ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজন প্রচার করা হবে।

এদিকে করোনার প্রকোপ থামাতে ঘরে বসেই পহেলা বৈশাখের আনন্দ উপভোগ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা দেখছেন কোনভাবেই সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তাই আরও কিছু কঠোর ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। আমি জানি এর ফলে অনেকেরই জীবন জীবিকায় অসুবিধা হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে -মানুষের জীবন সর্বাগ্রে। বেঁচে থাকলে আবার সব গুছিয়ে নিতে পারবো।

তিনি বলেন মানুষের জীবন রক্ষার পাশাপাশি অর্থনীতি, জীবন-জীবিকা যাতে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে না পড়ে সেদিকে আমরা কঠোর দৃষ্টি রাখছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেই আমরা এক বছরের অধিক সময় পার করলাম। গত বছর মার্চের প্রথম সপ্তাহের দিকে আমাদের দেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছিল। নানা আশঙ্কা আর আতঙ্ক গ্রাস করেছিল আমাদের। সেসব মোকাবিলা করেই আমাদের টিকে থাকতে হয়েছে। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের থাবায় আমরা হারিয়েছি আমাদের অনেক প্রিয়জনকে, আপনজনকে। আমি সকলের রুহের মাগফিরাত এবং আত্মার শান্তি কামনা করছি। স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৬০’র দশকের শেষভাগে ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়। আমাদের মহান স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এই উৎসব নাগরিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। ১৯৮০’র দশকে পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। মূলত, আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনসমূহের কর্মী-সমর্থকদের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলেই আজকের এই অবস্থান।

তিনি বলেন, কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মতো এবারও ঘরে বসেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস আরও মরণঘাতী হয়ে আবির্ভূত হয়েছে। পয়লা বৈশাখের আনন্দ তাই গত বছরের মতো এবারও ঘরে বসেই উপভোগ করবো আমরা। টেলিভিশন চ্যানেলসহ নানা ডিজিটাল মাধ্যমে অনুষ্ঠানমালা প্রচারিত হবে। সে সব অনুষ্ঠান উপভোগ ছাড়াও আমরা নিজেরাও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে আনন্দ উপভোগ করতে পারি।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত