ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

লকডাউনে হয়রানির শিকার চিকিৎসকরা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৩২  
আপডেট :
 ১৫ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৪৪

লকডাউনে হয়রানির শিকার চিকিৎসকরা
সংগৃহীত ছবি।

করোনা মহামারির সংক্রমণ রোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। একদিকে পয়লা বৈশাখ, অন্যদিকে রোজার প্রথম দিন। নানা অজুহাতে মানুষ এদিন বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকদের বাইরে বের হতে বাধা নেই এবং মুভমেন্ট পাস লাগবে না বলে জানিয়েছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। কিন্তু লকডাউনের প্রথম দিনে রাজধানীতে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে আটকেছে পুলিশ। তাদের গুনতে হয়েছে জরিমানাও।

চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজ (এফডিআরএস) জানিয়েছে, রাজধানীজুড়ে এ ধরনের বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে। অনেককেই গুনতে হয়েছে জরিমানা। অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে দেওয়া কিংবা দুই ঘণ্টা পর্যন্ত পথে আটকে রাখার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা সম্মুখসারিতে থেকে কাজ করছেন। প্রজ্ঞাপনে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। আগামীতে যেন কোনো চিকিৎসককে এমন হয়রানি না করেন সে বিষয়ে সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তারা।

কর্মস্থলে যেতে পুলিশের বাধা ও ভোগান্তিতে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক।

চিকিৎসকদের নিজস্ব গ্রুপে শাহজাদ হোসেন মাসুম নামে একজন লিখেছেন, আমার আইসিইউর নার্সদের বহনকারী অধিদপ্তর থেকে স্টিকারযুক্ত গাড়ি টঙ্গী থেকে আসার সময় আটকে রাখে পুলিশ এবং জানায় মুভমেন্ট পাস ছাড়া যেতে দেবে না। তারা আমাকে কল করলে আমি পরিচালককে জানাই। তারা কোভিড আইসিইউর স্টাফ উল্লেখ করে অনেকবার অনুরোধ করলেও পুলিশ মুভমেন্ট পাস ছাড়া গাড়ি ছাড়বে না বলে জানায়। দুই ঘণ্টা আটকে থাকার পর তারা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন।

কৃষ্ণা হালদার নামে এক চিকিৎসক লিখেছেন, ‍গত রাতে কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে আমার নাইট শিফটে ডিউটি ছিল। সকালে আমার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার পিক-আপ করার সময় কারওয়ান বাজার সিগন্যালে ড্রাইভার আমার আইডি কার্ড দেখানোর পরও পুলিশ মামলা করেছে।

তিনি আরো লেখেন, পুলিশ তাকে জরিমানা করেছে, সব কাগজপত্র নিয়ে গেছে। বারবার চেষ্টা করেও তিনি মুভমেন্ট পাস বের করতে পারেননি বলেও উল্লেখ করেছেন।

এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউসিজি) অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, চিকিৎসকরা যেহেতু জরুরি পরিসেবায় নিয়োজিতদের মধ্যে পড়েন, সেহেতু পরিচয় দেওয়ার পরও মামলা দেওয়া উচিত হয়নি। যা হয়েছে ঠিক হয়নি, মহা-অন্যায় হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে জরুরি বিভাগ তো খোলা, সে হিসেবে চিকিৎসকরা তো অবাধে কর্মস্থলে যেতে পারার কথা। তা না হলে তারা এতো রোগীর চিকিৎসা কীভাবে দেবেন? তারা যে কষ্ট করে যাচ্ছেন, এটাই তো বেশি। আর যেন এমন না হয়, তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত