ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফের কাদের মির্জার হুঙ্কার

  নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৪২

ফের কাদের মির্জার হুঙ্কার
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার মূল ফটকের সামনে ক্ষমতাসীন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে ছেলে তাশিক মির্জা কাদেরের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের মির্জা বলেন, ২৪ ঘণ্টার সময় দিলাম। এ সময়ের মধ্যে ডিসি, এসপি, এডিশনাল এসপি, ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি ও পরিদর্শককে (তদন্ত) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী, রুমেল, সবুজ,কচি, শাহীন চেয়ারম্যান ও রাজ্জাক চেয়ারম্যানকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনেন। না হলে কোম্পানীগঞ্জে শান্তি আসবে না। ২৪ ঘণ্টার ভেতর যদি এটার কিছু না হয় তাহলে আমি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামব।

তিনি আরো বলেন, আজকে আমাকে ফেসবুকে কথা বলতে দেয়া হয় না। অথচ আমার প্রতিপক্ষরা ফেসবুকে কথা বলতে পারছে। আমি পারছি না। এগুলো কে করেছে ওবায়দুল কাদের সাহেব। বউয়ের অপকর্ম ঢাকার জন্য সেই এগুলো করছে। না হলে কে করছে।

কাদের মির্জা বলেন, তারা আমার পরিবারকে ধ্বংস করতে চায়। ওসি তুমি মিথ্যা কথা বল। মুনাফিক। ১০ লাখ টাকা খেয়ে আজকে প্রতারণা করছ। তুমি আমার ছেলেদেরকে জেলে দেয়ার ভয় দেখাও। তোমাকে এ সাহস কে দিয়েছে। সাবধান, সাবধান, সাবধান করে দিচ্ছি তোমাদেরকে- আমাকে ছিন না, ছিন না, ছিনবা পরে। আমি কারও তোয়াক্কা করি না। আল্লাহ ছাড়া, জনগণ ছাড়া কাউকে ভয় করি না। আমি সাহস করে সত্য কথা বলব। আমার পরিবার প্রয়োজনে এই পথে নিজেদেরকে বিসর্জন দিবো। তারপরও কোনো অপরাধী, অপরাজনীতি, সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজ, ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে কোনো আপস করব না।

এর আগে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কাদের মির্জার ছেলে ও ভাগিনাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সেখান থেকে তারা পৌর ভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এর কিছুক্ষণ পর মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক থানার সামনে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এসময় বাদল গ্রুপের আরমান চৌধুরী, কাদের মির্জার ভাগিনা হুমায়ুন রশিদ মিরাজ, যুবলীগের নজরুল ইসলাম হিমেল, ছাত্রলীগ নেতা আদনান পাশা জয়, ওমর ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাহাদুর, কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিক, পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ জিসান ও চরপার্বতী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর বসুরহাটে উত্তেজনা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত