ক্রেতা সঙ্কটে তরমুজ ব্যবসায়ীরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্রেতা সঙ্কটে লোকসানের মুখে পড়েছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সারাদেশের ন্যায় এ উপজেলায় চলছে লকডাউন। তাই ঘর থেকে লোকজন বাহিরে বের হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজের চাহিদাও কমে গেছে।

এদিকে ক্রেতা কমে যাওয়ায় কারণে অনেকের মজুদ করা তরমুজ পচন ধরতে শুরু করেছে বলে স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনা, নিহত ৪৩৮

জানা গেছে, উপজেলার ধানখালী, চম্পাপুর, লতাচাপলী, ধুলাসার ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। মূলত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক সুফল পেয়েছে। লগডাউনের আগে অন্তত অধিকাংশ চাষি তাদের ক্ষেত বিক্রি করতে পেরেছে। তাই চাষিরা ভালো দাম পেয়েছে তরমুজের। তবে খুচরা বিক্রেতারা তরমুজ ক্রয়ের পর লগডাউন ঘোষণা আসায় পৌর এলাকায় লোকসমাগম কমে গেছে। ফলে দেখা দিয়েছে ক্রেতা সঙ্কট।

তরমুজ ব্যবসায়ী ইউনুচ বলেল, লকডাউনের কারণে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে বাঁজার। দুই চারটা যা বিক্রি করছি, তাও ভালো দাম পাচ্ছি।

ব্যবসায়ী জলিল জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে তরমুজ কিনেছেন। বিক্রি কম হওয়ায় তার কিছু কিছু তরমুজে পচন ধরেছে।

ক্রেতা নেই তরমুজের বাঁজারে

তরমুজ ব্যবসায়ী আনসার আলী জানান, হঠাৎ বিক্রি কমে গেছে। কাঁচামাল মজুদ করারও কোনো সুযোগ নেই। তার অন্তত সহস্রাধিক পিস তরমুজ কেনা ছিল। লকডাউনের পর থেকে ক্রেতা কমে যাওয়ায় তরমুজ বিক্রি করতে পারেননি তিনি।

তিনি বলেন, আগেভাগেই তরমুজ ক্ষেত কিনে বিপাকে পড়েছি। বিক্রি করে উঠতে পারলে ভালো। নাহলে লোকসানের বোঝা বহন করতে হবে।

কলাপাড়া বন্দর সমিতির অর্থ সম্পদক ফরিদ উদ্দিন বিপু বলেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সারাদেশের ন্যায় কলাপাড়ায় চলছে লকডাউন। তাই ঘর থেকে লোকজন বাহিরে বের হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় বাঁজারগুলোতে তরমুজের চাহিদাও কমে গেছে। ফলে তরমুজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কা রয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, এ উপজেলা ১৫শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। লকডাউনের আগেভাগেই চাষিরা ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি করে দিয়েছে। ওইসময় তারা দামও ভালো পেয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে