ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রেমিকাকে হত্যায় কনস্টেবল গ্রেপ্তার

  রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২১, ১২:২০

প্রেমিকাকে হত্যায় কনস্টেবল গ্রেপ্তার
ছবি: প্রতিনিধি

বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিকাকে হত্যা করে মরদেহ ড্রামে ভরে ডোবায় ফেলে দিয়েছিলেন রেল পুলিশের (জিআরপি) রাজশাহী থানার কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র সরকার।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা জানালেন, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে নিমাই এই কথা জানিয়েছেন।

রাজশাহী নগরীর অদূরে বাইপাস সড়কের সিটি হাটের কাছে শুক্রবার ডোবা থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রোববার গ্রেপ্তার করা হয় নিমাইকে। তার দেয়া তথ্যে হত্যায় সহযোগিতার অভিযোগে রোববারই গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিনজনকে।

তারা হলেন নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার আদারীপাড়ার কবির আহম্মেদ, রাজপাড়া থানার শ্রীরামপুর এলাকার সুমন আলী এবং নগরীর বিলশিমলা এলাকার মাইক্রোবাসচালক আব্দুর রহমান।

পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের পর ঘটনার তদন্তে তারা কাজ শুরু করেন। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিমাইকে শনাক্ত করা হয়।

তদন্তে জানা যায়, নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার একটি বাড়িতে ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়। ওই বাড়িটি জিআরপির কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র গত ৬ এপ্রিল ভাড়া নেয়। তিনি বিবাহিত, স্ত্রীও বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল।

এরপর নাটোরের লালপুরে বোনের বাড়ি থেকে নিমাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই তরুণীর পরিচয় জানান।

ওই তরুণীর নাম ননিকা রাণী রায়। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদরের মিলনপুর। তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। থাকতেন নগরীর পাঠানপাড়া এলাকার একটি মেসে।

নিমাই জানান, ছয় থেকে সাত বছর ধরে ননিকার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তাকে ননিকা বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ কারণে তাকে ভাড়া বাসায় নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ ড্রামে ভরে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ডোবায় ফেলে দেন।

মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে রোববার রাতে ননিকার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত