ধর্ষণের পর নগ্ন ছবি তুলে অর্থ দাবি, ৬ কিশোর আটক
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৫৩ আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৫৭
চুয়াডাঙ্গা শহরের মহিলা কলেজ পাড়া এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর নগ্ন ছবি তুলে অর্থ দাবির অভিযোগে ৬ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে শহরের কেদারগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ওই রাতেই ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আটকরা হলো শহরের কেদারগঞ্জের জোবায়ের হোসেন জীম (১৮), মুন্সিপাড়ার মেহেদী হাসান রাকিব (১৭), পলাশপাড়ার রায়হান রাজ (১৬), কেদারগঞ্জের ইমরান খান (১৬), জীবননগর বাসষ্ট্যান্ড পাড়ার সিমরান শেখ (১৬) ও কেদারগঞ্জের মারুফ হাসান আপন (১৬)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রায় ৮ মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে শহরের সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার স্কুলপড়ুয়া এক কিশোরীর (১৪) সাথে জীমের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৫ মার্চ জীমসহ আরো বেশ কয়েকজন ওই স্কুলছাত্রীকে মহিলা কলেজপাড়ার একটি বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এসময় জীম ওই কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় বাকি আসামিরা জীমকে সহযোগীতা করে। এরপর ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে তারা।
পুলিশ জানায়, ছবি ও ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী মেয়েটির কাছে চাঁদা দাবি করতো তারা। এতে বাধ্য হয়ে ওই স্কুলছাত্রী এরই মধ্যে তাদেরকে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও বেশ কিছু স্বর্ণালংকার দেয়। গতকাল সোমবার নতুন করে আবারো ২৫ হাজার টাকা দাবি করে অভিযুক্তরা। পরে কোন উপায় না পেয়ে স্কুলছাত্রী পুরো বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।
পরে পরিবার পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আটককৃতদের ব্যাপারে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ, পর্ণোগ্রাফী ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি জানান, অভিযুক্তদের মোবাইলফোন থেকে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/আর
