ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

শেরপুরে কুকুরের কামড়ে ৩৭ জন আহত

  শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১৬:১৫

শেরপুরে কুকুরের কামড়ে ৩৭ জন আহত
প্রতীকী ছবি

শেরপুরে পাগলা কুকুড়ের কামড়ে বেশ কয়েকদিনের মধ্যে ৩৭ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ২২ জন সদরে ও গেলো ১৯ ও ২০ এপ্রিল নকলায় এ ঘটনা ঘটে।

কুকুরের কামড়ে আহত ৩৭ জনের মধ্যে অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। আহত প্রত্যেকেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে শেরপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক কুকুর অস্বাভাবিক আচরণ করে এদিক সেদিক দৌঁড়াতে থাকে। পথিমধ্যে ওই কুকুর পথচারীদের কামড়াতে শুরু করে। এরপর এলাকাবাসী পাগলা কুকুরটিকে ধাওয়া করলে কসবা এলাকার দিকে পালিয়ে যায়।

পশ্চিম ও পূর্ব শেরীপাড়া থেকে ধাওয়া খেয়ে কুকুরটি কসবা এলাকায় গিয়ে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে কামড়ে মারাত্মক আহত করে।

এ বিষয়ে ভাটিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা জব্বার আলী বলেন, আমার ছোট মেয়েটা তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে হঠাৎ ওই পাগলা কুকুরের সামনে পড়ে যায়। এরপর কুকুরটি তার পা-হাতসহ বিভিন্ন জায়গায় কামড়ে দিয়ে মারাত্মক আহত ও রক্তাক্ত করে।

শহরের নবীনগর এলাকার ফল ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দীন (৭২) বলেন, সকালে দোকান খুলে ফলের কার্টুন গোছাচ্ছিলাম। এ সময় পেছন দিক থেকে একটি কুকুর এসে আমার পায়ের গোড়ালিতে একটা কামড় দেয়। আমি স্তম্ভিত হয়ে পড়ি। পরে দেখি কুকুরটি দৌঁড়ে পালানোর সময় সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কামড়ে দেয়া চেষ্টা করছে।

প্রতি বছরই পৌরসভার বেওয়ারিশ কুকুর ইনজেকশন পুশ করে নিধন করা হয় জানিয়ে পৌরসভার প্যানেল মেয়র কামাল হোসেন বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমি মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলবো।

সদর হাসপাতালের আরএমও খাইরুল কবীর সুমন বলেন, কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে এ পর্যন্ত ২২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, নকলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের কামড়ে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ১৯ এপ্রিল সকল থেকে ২০ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন মহল্লায় এসব ঘটনা ঘটে।

নকলায় আহতরা হলেন- চাঁন মিয়ার ছেলে মুক্তার (৮), ভুর্দি এলাকার মমিনের ছেলে অন্তর (২০), পৌরসভাধীন চরকৈয়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (২৪), আইয়ুব আলীর ছেলে জনি (৫), মারফত আলীর ছেলে হাজে (১৫), সাহাপাড়া এলাকার মঙ্গল সাহার ছেলে নিরব সাহা (১০), দক্ষিণ নকলার সুমন মিয়ার মেয়ে আফিয়া (৪), আড়িয়াকান্দার মৃত তফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান (৪৫), ইমান আলীর মেয়ে খুসু মনি (৭), বালিয়াদির মফিজ উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (১৪), হোসেন আলীর ছেলে আমবাজ আলী (৪৭), বানেশ্বর্দীর হাবিবুর রহমানের ছেলে নূর হোসেন (৪২), রইজ উদ্দিনের ছেলে মুজর (১৯), আক্কাস আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান (৫০), বিবিরচরের মৃত সাইলের ছেলে নজরুল ইসলাম (৭০)।

নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ১৯ এপ্রিল ১৩ জন ও ২০ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত আরও দুজনসহ মোট ১৫ জন কুকুরের কামড়ে আহত হন। তাদের প্রত্যেককেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত