ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিধিনিষেধেও তীব্র যানজটে নাকাল রাজধানীবাসি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ মে ২০২১, ২০:৫০

বিধিনিষেধেও তীব্র যানজটে নাকাল রাজধানীবাসি
ছবি- নিজস্ব

করোনা পরিস্থিতি দিনদিন অবনতির দিকে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার। বিধিনিষেধের শুরুর দিকে জনসমাগম ও গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের যে সরব ভূমিকা ছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা নিষ্প্রভ হয়ে গেছে। তৃতীয় দফায় লকডাউনে রাজধানীতে সকাল থেকেই ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে নাকাল হয়েছেন নগরবাসী। ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলের আধিক্য ছিল নগরজুড়ে। এছাড়া মাস্ক না পরা, পরলেও নামে মাত্র পড়া, সামাজিক দূরত্ব না মানার বিষয়টিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, কারওয়ান বাজার, টিকাটুলি মোড়, গুলিস্তান, জিপিও মোড়, পল্টন মোড়, কাকরাইল, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, নতুনবাজার, নিউ মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

ধানমণ্ডি-২৭ থেকে নিউ মার্কেট সড়কে গাড়ির সঙ্গে গাড়ির ছুঁই ছুঁই অবস্থা দেখা গেছে। এতে তীব্র যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষের।

ধানমন্ডি ২৭ নম্বর থেকে গাবতলী পর্যন্ত নিয়মিত টহল দেওয়া একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট বলছেন, গাড়ি একটু বেড়েছে। বিভিন্ন অজুহাতে মানুষ আজ বের হওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি রাস্তায় গাড়ি আটকালে কেউ কেউ এক বছর আগের প্রেসক্রিপশনও দেখিয়েছে।

সায়েন্সল্যাব মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহীন উদ্দিন জানান, সকাল ১০টার পর থেকে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে বেলা গড়াতে থাকলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রতি সিগন্যালে প্রায় ১৫-২০ মিনিটের মত সময় লাগছে।

এদিকে পুলিশ চেকপোষ্টেও পুলিশ সদস্যদের তেমন একটা চোখে পড়েনি। যার কারণে জেরার মুখেও পড়তে হয়নি তেমন কাউকে।

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমলেও দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ধানমন্ডি-৩২ থেকে কারওয়ান বাজার মোড় পর্যন্ত বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।

পল্টন মোড়ে জানজটে মোটরবাইকে দাঁড়িয়ে থাকা সিহাব উদ্দিন বলেন, ভাই এটার নাম ‘লকডাউন? সড়কে দেখেন এত গাড়ি, নির্বিঘ্নে চলছে। পুলিশের কোনো বাধা নেই।

গুলশান এলাকার বাসিন্দা হায়দার মুর্তজার একই মত, তিনি বলেন, এসব লকডাউনের কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।

পথচারীরা বলছেন, নতুন করে লকডাউন দেয়ার ঘোষণায় তারা কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। কারণ এক সপ্তাহের কথা বলা হলেও আসলে কতদিন লকডাউন চলবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। অন্যদিকে দোকানপাট ও শপিংমল বিকাল ৫টা-৯টা বন্ধ হয়ে যাবে তাই অনেকে কড়া রোদের মধ্যেও মার্কেটে ছুঁটেছেন।

বাংলামোটর ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহমুদুল হাসান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, শনিবার সকাল থেকে বাংলামোটর, মগবাজার, কাকরাইল আশেপাশের সড়কগুলোতে কিছুাটা যানজট কম ছিলো। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিলো। বেশ কিছুদিন ধরেই এমন যানজটের তীব্রতা লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ যানজটের মাত্রা তুলনামূলক অনেক বেশি।

নিউ মার্কেট এলাকায় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানালেন, নতুন নতুন লকডাউনের নামে নিয়ম আসছে। আবার কবে দোকান শপিংমল বন্ধ করে দেবে এর চেয়ে আগে থেকেই কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। কারণ সামনে কতদিন লকডাউন চলবে তা অনিশ্চিত।

এদিকে গণপরিবহণ বন্ধ থাকার মাঝেও প্রতিদিনই হাজারো মানুষ প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল বা ট্রাক কিংবা পিকআপে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত