খড়-ধান শুকানোর বিষয়ে ফেসবুকে পুলিশের সতর্ক বার্তা প্রশংসিত
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ মে ২০২১, ১২:৩৯ আপডেট : ০২ মে ২০২১, ১২:৪১
‘এটা স্যার অতি ভালো উদ্যোগ। ধান এবং খড় খুব সাধারণভাবে শুকাবে তা নয়। বরং তারা ধানগুলি রাস্তায় নেড়ে ধানের দুই পাশে বাঁশ, গাছের টুকরো, ইট অর্থাৎ এমন একটা কিছু দিয়ে রাখে যাতে করে ধানের ওপর দিয়ে যেন কেউ যেতে না পারে। এতে করে যেকোনো চালক ভুলবশত বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। আশাবাদী আপনাদের উদ্যোগ খুব শিগগির বাস্তবে পরিণত হবে। অগ্রিম ধন্যবাদ।’
শনিবার রাতে শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ কর্তৃক পরিচালিত ফেসবুক পেজ ‘ঝিনাইগাতী থানা শেরপুর’-এ সড়কে খড় ও ধান শুকানোর বিষয়ে একটি সতর্কীকরণ বার্তা পোস্ট করা হয়। সেই বার্তার প্রশংসা করে কথাগুলো লেখেন- শেরপুরের ঝিনাইগাতীর এমডি আবু সামা কবির নামে এক ভুক্তভোগী।
তার মতো আরো ১১৯ জন ওই পোস্টে মন্তব্য করেন। রোববার সকালে ওই ফেসবুক পেজটি ভিজিট করার সময় এসব পাওয়া যায়।
পুলিশের ওই পেজে উল্লেখ করা হয়-
প্রিয় ঝিনাইগাতিবাসী, আপনারা কেউ দয়া করে পাকা রাস্তার ওপর কাটা ধান রাখবেন না, মাড়াই করবেন না, ধানের খড় শুকানোর জন্য জড়ো করে রাখবেন না। এই কারণে ইতোমধ্যে বড় একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। এটা যানবাহনসহ মোটরসাইকেলের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এরপরও কেউ এহেন কাজ অব্যাহত রাখলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হব।
এ পোস্টে সাধুবাদ জানিয়ে রফিকুল ইসলাম নামে এক গণমাধ্যমকর্মী লেখেন, ‘আমি নিজে কিছুদিন আগে বাগেরভিটা থেকে মোটরসাইকেলে আসার পথে রাস্তার ওপর ছড়ানো খড়ে স্লিপ করে বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। ধন্যবাদ কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপের জন্য।
শহীদুল ইসলাম নামে আরেকজন লেখেন, আমার বড় ভাই এক সপ্তাহ থেকে এই দুর্ঘটনার শিকারে ভুগতেছেন। সঠিক সিদ্ধান্ত স্যার।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে কৃষক-কৃষাণিরা ধান ঘরে তোলা শুরু করেছেন। অনেকেই কাঁচা ধান ও খড় শুকানোর জন্য ঝিনাইগাতী-শেরপুর সড়ক ব্যবহার করছেন। এ কারণে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন চলতি যাত্রীরা। গেলো শনিবার রাতে শেরপুর থেকে ঝিনাইগাতী ফেরার পথে যাত্রীবাহী একটি সিএনজি অটোরিকশা রাস্তায় ফেলে রাখা খড়ের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এসময় অটোতে থাকা তিন যাত্রী আহত হন। এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি নিরাপদ রাখতে সকলের উদ্দেশে ওই স্ট্যাটাসটি দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, এ সতর্ক বার্তা ভঙ্গকারী আর্থিক জরিমানা এবং মোটরযান আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলার সম্মুখীন হবেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে