ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

৯দিনের রিমান্ডে হারুন ইজাহার

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ মে ২০২১, ২০:২৯

৯দিনের রিমান্ডে হারুন ইজাহার

চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা সহিংসতার তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুফতি হারুন ইজাহারের তিন দিন করে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাটহাজারী থানার আরও দুই মামলায় হারুন ইজাহারকে গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন ভার্চুয়াল শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির।

তিনি জানান, হেফাজতে ইসলামের আগের কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহীর গত বছরের সেপ্টেম্বরে করা মারধরের মামলা, গত ২৬ মার্চ হাটহাজারী থানায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশের করা দুই মামলাসহ তিন মামলায় হারুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে হাটহাজারী থানার তিন মামলায় তিন দিন করে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই সঙ্গে সিআইডির তদন্ত করা আরও দুই মামলায় হারুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এর আগে ২৮ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে মুফতি হারুন ইজহারকে আটক করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরার আদালতে হাজির করার পর পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে ভার্চুয়ালি শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

মুফতি হারুন ইজহার ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলামের ছেলে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার মাদ্রাসায় হ্যান্ড গ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে তিনজন মারা যান এবং বিস্ফোরণে ৫ জন আহত হয়েছিল। পরে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চারটি তাজা গ্রেনেড, ১৮ বোতলে ৫০০ গ্রাম করে নয় হাজার গ্রাম অ্যাসিড এবং গ্রেনেড তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল। ওই ঘটনায় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন এবং তার পিতা ইজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধেও মামলা বিচারাধীন।

এ ঘটনায় ৩টি ও হেফাজতের নাশকতার ৮ মামলাসহ মোট ১১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে হারুন ইজাহারের বিরুদ্ধে। এছাড়া রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের লংমার্চের সময় সংঘর্ষ ও নাশকতার ঘটনায় দায়ের হওয়া তিনটি মামলায়ও তিনি আসামি।

এছাড়া ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে কানেকশনের অভিযোগে একবার মুফতি হারুন ইজাহার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়া লস্কর-ই-তৈয়বার দুই জঙ্গি নাজের ওরফে নাজের পারবন এবং শফিক ওরফে সাহাফাজ শামসুদ্দিন পুলিশকে জানায়, তাদের সঙ্গে মুফতি হারুনের কয়েক দফা বৈঠক হয়। তারা মার্কিন ও ভারতীয় দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা নিয়েছিল।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত