ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রতিটি নৌযানের রেজিস্ট্রেশন থাকা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী

  পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ মে ২০২১, ১৬:৫৫  
আপডেট :
 ০৬ মে ২০২১, ১৭:০০

প্রতিটি নৌযানের রেজিস্ট্রেশন থাকা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌপথকে আরও কার্যকরী করতে ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ হাজার কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। জলপথে চলাচলকারী প্রতিটি নৌযানের রেজিস্ট্রেশন থাকা উচিৎ। রেজিস্ট্রেশন না থাকলে নৌযান সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায় না। এছাড়া উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে নৌযান পরিচালনা করা হলে দুর্ঘটনা কমে যাবে।

বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ উদ্বোধন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে। রয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌবন্দর। এসব বন্দরের জন্য জাতির পিতা ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তর পরবর্তী জেনারেল জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ ও খালেদা জিয়ার এসব বিষয়ে মনোযোগ ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা মিয়ানমারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করেছিলেন। ভারতের সাথেও তিনি সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। জাতির পিতাই প্রথম সমুদ্রসীমা আইন প্রণয়ন করেন।

আরও পড়ুন: যেখানে আছেন সেখানেই ঈদ উদযাপন করুন

এদিকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- বিআইডব্লিউটিএ’র ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই)’, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’, নবনির্মিত নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেজ; বিআইডব্লিউটিসির দুইটি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ এবং ‘এমভি আইভি রহমান’, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট মেরিন একাডেমি।

জানা গেছে, ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২০টি ড্রেজার এবং ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান প্রস্তুত করা হয়েছে। নৌপথ খনন ও নাব্যতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়।

বর্তমানে ২০টি ড্রেজার বিআইডব্লিউটিএ’র বহরে যুক্ত হয়ে মোট ৪৫টি ড্রেজারের শক্তিশালী ইউনিট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও সরকারের বর্তমান মেয়াদে ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বিআইডব্লিউটিসির উপকূলীয় যাত্রিবাহী জাহাজ ও সি-ট্রাক বহরকে দক্ষ ও যুগোপযোগী করতে নবনির্মিত অত্যাধুনিক যাত্রিবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ' ও ‘এমভি আইভি রহমান' নির্মাণ করা হয়েছে।

জাহাজ দুটি কুমিরা-গুপ্তছড়া এবং চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ-হাতিয়া-বরিশাল রুটে চলাচল করবে। এ জাহাজ দুটির মাধ্যমে বছরে ৬ লাখ ৩০ হাজার যাত্রি পরিবহন সম্ভব হবে। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাত্রিবাহী জাহাজ ‘এমভি বাঙালি' ও ‘এমভি মধুমতি' উদ্বোধন করেছিলেন। বিআইডব্লিউটিসি'র আরও ৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত