ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

কৃষ্ণচূড়ার লালে সেজেছে ত্রিশাল সড়কের দু’পাশ

  ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২১, ০৯:২৩  
আপডেট :
 ২৫ মে ২০২১, ১০:২৫

কৃষ্ণচূড়ার লালে সেজেছে ত্রিশাল সড়কের দু’পাশ
ছবি: প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ত্রিশালে কৃষ্ণচূড়ার লালে সেজেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল অংশের ১৬ কিলোমিটারের দু’পাশ। অপর দিকে সবুজে সবুজে বিপ্লব ত্রিশালের পথ, ঘাট, বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনা। ত্রিশালে এ লাল-সবুজের চিত্র ‌‌‘সবুজ ত্রিশাল’ ১ম ও ২য় পর্বের অবদান। এ কাজটি শুরু করে ছিলেন ত্রিশালের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু জাফর রিপন।

তিনি ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল মাসে শুরু করে ছিলেন সবুজ ত্রিশাল ১ম পর্ব এবং ১ম পর্ব শেষ হয় ৩০ সেপ্টেম্বর। এ সময় তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী, ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি-বেসরকারি অফিসের পাশে ৩ লাখের ও বেশি গাছের চারা বিতরণ করেন।

এর পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দু’পাশে ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর শুরু করেন সবুজ ত্রিশাল ২য় পর্ব। এ সময় তিনি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল অংশের ১৬ কিলোমিটারের দু’পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করেন। বর্তমানে রোপণকৃত ঐ কৃষ্ণচূড়া গাছে লাল ফুল ফুটে এক অপরূপ সাজে সেজেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দু’পাশ। কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো সহজেই নজর কাড়ছে পথচারীদের। শুধু এখানে নয় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগুলোতে দেখা মিলছে কৃষ্ণচূড়ার রাজত্ব।

তিনি ত্রিশালকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তৎকালীন সময়ে গঠন করেছিলেন ‘ব্রিগেড’ টিম। এই ব্রিগেট টিম ত্রিশালকে বাল্যবিবাহমুক্ত করতে এখনো মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে মো. আবু জাফর রিপন পেয়েছিলেন জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রশাসন পদক ২০১৮। এছাড়াও ঐ সময় পেয়েছিলেন বিভিন্ন সংগঠন থেকে সন্মাননা। তিনি ত্রিশালে ১১ এপ্রিল ২০১৬ থেকে ৩১ জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোজাহিদ খান ভুলা বলেন, গাছ রোপণ করা সওয়াবের কাজ। ইউএনও মো. আবু জাফর রিপন স্যার সেই কাজটি করেছেন।

তৎকালীন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, সবুজ ত্রিশাল ও বাল্যবিবাহ মুক্ত ত্রিশাল গড়ার কারিগর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো আবু জাফর রিপন আজীবন ত্রিশাল বাসির অন্তরে বেঁচে থাকবেন।

বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রকৃতির সৌন্দর্যবর্ধক এই কৃষ্ণচূড়া গাছ রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, না হলে যান্ত্রিকতার ভিড়ে এক সময় খর্ব হবে প্রকৃতির ভারসাম্য।

উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার বলেন, কৃষ্ণচূড়া গাছগুলোর দিকে তাকালে বিশ্বাস করতে হয় আসলে আমরা প্রকৃতির কাছে দায়বদ্ধ।

তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বর্তমান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবু জাফর রিপন বলেন ২০১৬ সালে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেককে অন্তত একটি করে বনজ, ফলজ, ওষুধি গাছের চারা রোপণ করার আহবান জানান।

আমি এই বক্তব্য থেকে উব্ধুদ্ধ হয়ে সবুজ ত্রিশাল গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করি। ত্রিশালের সরকারি বনভূমি মাত্র ৩.৪১%। দ্রুত শিল্পায়নমুখী ত্রিশাল উপজেলাকে গ্রিন হাউজ ইফেক্ট থেকে রক্ষা করতেই আমি সবুজ ত্রিশাল বাস্তবায়নে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত