ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘তোরে জন্ম দিছি বাবা, দুধ খাইয়ে বড় করছি, আমারে মারিস না’

  পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ মে ২০২১, ২১:৪১

‘তোরে জন্ম দিছি বাবা, দুধ খাইয়ে বড় করছি, আমারে মারিস না’
ভুক্তভোগী মা লালমতি

পটুয়াখালীর বাউফলে ছেলের নির্যাতন থেকে বাঁচতে এক মায়ের আকুতি ‘আমি তোরে জন্ম দিছি বাবা, দুধ খাইয়ে বড় করছি, আমারে মারিস না’। এমন আকুতির পরও ছেলের নির্যাতন থেকে মুক্তি মেলেনি সত্তরোর্ধ গর্ভধারিনী মা লালমতি বেগমের।

ছেলে আনোয়ার খন্দকারের একের পর এক লাঠির বেধড়ক পিটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মা লালমতি। পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বোন মরিয়ম বেগমকেও।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) পটুয়াখালীর বাউফলের মদনপুরা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামে এ ঘটনার পর স্থানীয়দের সহায়তায় আহত মা-মেয়ে চিকিৎসার জন্য বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভার্তি হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের মৃত রত্তন আলী খন্দকারের ছেলে আনোয়ার খন্দকার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি অন্য ভাই-বোনকে না দিয়ে নিজের করে নিতে প্রায়ই মাকে অত্যাচার নির্যাতন করেন। তার দাবি, যারা বাড়িতে থাকেন না, তারা আর বাড়িতে আসতে পারবে না। কোনো জমি-জমার ভাগ কেউ পাবে না। তাদের বাড়িতে কোনো আশ্রয়ও দেয়া যাবে না। বৃহস্পতিবার একই কারণে মা ও বোনের সাথে এ নিয়ে আনোয়ারের বাকবিতণ্ডা হয়, পরে মারধর করেন।

আহত মরিয়ম বেগম বলেন, মারধরের এক পর্যায়ে মাকে দা দিয়ে কোপাতে যন আনোয়ার খন্দকার। আমাকে কুড়ালের আচারি (হাতল) দিয়ে মারধর করেন। মা আমাকে বাঁচাতে আসলে লাঠি দিয়ে মায়ের রানে ও পিঠে আঘাত করেন।

মা লালমতি বেগম বলেন, ‘ওর বাবার রেখে যাওয়া সব সম্পত্তি একা নিতে চায়। অন্যদের দিতে রাজি না। এজন্য প্রায়ই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। আজকেও আমার মেয়েকে মারধর করেছে। আমি বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করে।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আনোয়ার খন্দকারের মুঠোফোনে একাধিবার কল করলেও রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-মামুন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত