ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২১, ২১:৪৯

যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি
ছবি- প্রতিনিধি

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় যুবলীগের নেতা মেহেদি হাসান বাবুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মহাসড়কে নামেন কয়েক হাজার জনতা।

শনিবার সকালে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ সর্বস্থরের মানুষ বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে মানববন্ধন করেন। একইসঙ্গে কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মেহেদি হাসান বাবু কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তিনবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রয়াত এসএম মাহফুজুর রহমানের বড় ছেলে। কয়েকদিন আগে মাহফুজুর রহমান মারা যান। তার মৃত্যুর পর উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনকে লক্ষ্য করে কিছু ব্যক্তি মেহেদি হাসান বাবুর দলীয় মনোনয়ন ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বাবু ও তার পরিবার নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

প্রয়াত এসএম মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত রাড়ীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমা আক্তার বলেন, আমার স্বামী সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার রয়েছে ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমার স্বামীর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে একটি পক্ষ আমাদের পরিবার নিয়ে ষড়যন্ত্র করে একের পর এক আঘাত হানছে।

নাজমা আক্তার আরো বলেন, তিনি যেদিন মারা গেলেন, তার পরদিনই আমাদের দুটি রাইস মিলের লাইসেন্স বাতিলের জন্য অপচেষ্টা চালানো হয়। এর পরদিন আমার বড় ছেলে মেহেদি হাসান বাবুর ওপর হামলা চালানো হয়। আবার ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আসামি করা হয়। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

ক্রাচে ভর দিয়ে মানববন্ধনে উপস্থিত লোকমান নামক একজন জানান, পাওনা টাকা চাওয়ায় মাহফুজুর রহমান যেদিন মারা গেলেন, ঠিক সেইদিন রাড়ীপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলো মেম্বার ও তার দুই ছেলে বায়জিদ-শামীম আমাকে মেরে পা ভেঙে দেয়। জমি কিনে দেয়ার কথা বলে দুই লাখ টাকা নিলেও জমি পাইনি।

লোকমান বলেন, আমাকে জমি কিনে দেয়ার কথা বলে দেলো মেম্বার দুই লাখ টাকা নেন। পরে সেই জমি আমি পাইনি। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানাই। তিনি সালিশ করে এক মাসের মধ্য আমার টাকা দিয়ে দিতে বলেন। এর প্রায় ২০/২৫ দিন পর উপজেলা চেয়ারম্যান অসুস্থ হয়ে খুলনায় হাপতাতালে ভর্তি হন। পরে বিষয়টি বাবু ভাইকে জানাই। তিনি মেম্বারের সাথে কথা বললে মেম্বার টাকা দিয়ে দেয়ার তারিখ দেন। কিন্তু সেই তারিখেও টাকা দেয়নি। পরে আমি আবার বাবু ভাইকে জানাই। তিনি আমাকে বসিয়ে রেখে মেম্বারের বাড়িতে বিষয়টি জানতে গেলে তারা বাবু ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। আমার মতো অহসায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে তিনি হামলা মামলার শিকার হলেন। আমি এর সুষ্ঠু তদন্তের অনুরোধ করে বাবু ভাইয়েরে নামে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র দত্ত বলেন, আমাদের মাথার ওপর দীর্ঘবছর ধরে যিনি বটগাছের ছায়া দিয়ে রেখেছিলেন, সেই জননেতা মরহুম এসএম মাহফুজুর রহমান আজ আমাদের মাঝে বেঁচে নেই। আজ আমরা অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছি।রাড়ীপাড়া মানুষ আজ অসহায় জীবন যাপন করছে। তাই আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবকদের কাছে একটি দাবি, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতার অবশিষ্ট দিনগুলো যেন এই পরিবারে কাউকে দিয়েই তাদের যোগ্যতা প্রমাণে সুযোগ দেয়া হয়।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফ তুহিন মাহমুদ। তিনি বলেন, বাবু ভাইকে দলের কাছে হেয় করার জন্য নানা ধরনের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত