খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ঘুরছে মুখপোড়া হনুমান

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর ইউনিয়নের কানুপুর গ্রামের লোকালয়ে হঠাৎ করে ঢুকে পড়েছে একটি মুখপোড়া হনুমান। বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হনুমানটিকে এক নজর দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করে গ্রামটিতে। অনেকেই বলছেন, খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসেছে হনুমানটি।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তারা। হনুমানটির কেউ কোন ক্ষতি বা কোন আঘাত যাতে না করতে পারে সে বিষয়ে সকলকে সচেতন করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।

তীব্র দাবদাহ: চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা

গ্রামবাসীরা জানান, আগত হনুমানটি খাবারের উদ্দেশ্যে কখনো ডালে, কখনো রাস্তায়, কখনো বাড়ির ছাদে ওঠে ছুটাছুটি করছে। তাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করছে এলাকার উৎসুক জনতা। কয়েকদিন আগে পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার খাদাইল এলাকা থেকে এটি এসেছে।

তবে হনুমানটির মধ্যে শান্তভাব বিরাজ করায় এখনো কারও ক্ষতি হয়নি। কেউ হাত বাড়িয়ে খাবার দিলে খাবার নিয়ে আবার গাছের ডালে উঠে পড়ছে। বর্তমানে এটি উপজেলার রুকিন্দিপুর ইউনিয়নের কানুপুর গ্রাম থেকে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ভান্ডারীপাড়ায় অবস্থান করছে।

এদিকে কেউ বলছে হনুমানটির মুল বাসস্থান যশোরের কেশবপুর ও মনিরামপুরে। আবার কেউ বলছে এটি ভারত থেকে এসেছে। তবে কেউ সুনির্দিষ্টভাবে এর সঠিক বাসস্থান সম্পর্কে জানতে পারেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী কানুপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ বলেন, হনুমানটি এই এলাকায় দেখতে পেয়ে ৯৯৯ ফোন করে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। প্রাণীটির যেন কেউ কোন প্রকার ক্ষতি না করতে পারে সেজন্য গ্রামের সকলকে আমরা সচেতন করেছি। তবে হনুমানটি কারো কোন ক্ষতি করেনি।

উপজেলা বন কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করে প্রাণীটির গতিবিধি লক্ষ্য করছি। ইতিমধ্যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এবং বন্য প্রানী ব্যবস্থাপনা বিভাগে জানানো হয়েছে। এটি প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ মুখপোড়া হনুমান। হনুমানটির কেউ কোন ক্ষতি বা তাকে কেউ কোন আঘাত না করতে পারে সে বিষয়ে সকলকে সচেতন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম.এম হাবিবুল হাসান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা বন বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভাগীয় বন বিভাগে বিষয়টি অবগত করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হনুমানের গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য ঘটনাস্থলে দুজন গ্রামপুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খাবারের সন্ধানে হনুমানটি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর মূল বাসস্থান কোথায় বা কোথায় থেকে এটি এসেছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বর্তমানে হনুমানটি ভান্ডারীপাড়ায় অবস্থান করছে। গ্রামটিতে অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন থাকায় তারা এটিকে দেখভাল করে রাখছে বলেও জানান ইউএনও।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর