এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকের ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ফারুক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২১, ১৯:৩০ আপডেট : ০৭ জুন ২০২১, ১৯:৪৪
রাজধানীর মিরপুরে দেড় হাজার তিতাস গ্রাহকের গ্যাস বিলের ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী জালিয়াতির মূলহোতা মো.ওমর ফারুককে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন র্যাব-৪ কমান্ডিং অফিসার মো. মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।
র্যাব বলছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি কয়েকজন ভুক্তভোগী মিরপুর মডেল থানায় ওমর ফারুকের বিরুদ্ধ একটি মামলা করে। এরপর রোববার রাত ১ টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৪ কমান্ডিং অফিসার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ওমর ফারুক নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানার সাগরপুরের বাসিন্দা। ২০০৯ সালে এসএসসি পাস করে ২০১৪ সালে ঢাকায় এসে মগবাজার এলাকার একটি বিকাশের দোকানে কাজ শুরু করে। এরপর ২০১৫ সালে মিরপুরে আহ্মেদনগর এলাকায় নিজে বিকাশের ব্যবসা শুরু করে। প্রতারণার উদ্দেশ্য সেসময় বিভিন্ন বাংকে ৫টির বেশি একাউন্ট খোলে।
পরবর্তীতে সে ২০১৮ সালে মিরপুর ২ এর ৬০ ফিট এলাকায় তার প্রতিষ্ঠান ইন্টার্ণ ব্যাংকিং এন্ড কমার্স এর নামে একটি এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিতাস গ্যাস, ওয়াসা ও ডেসকোর বিল সংগ্রহ করে তা জমা না দিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মাসা করে।
মোজাম্মেল হক বলেন, এ বছরের জানুয়ারি মাসে মিরপুর এলাকায় তিতাস গ্যাস কতৃপক্ষ মাইকিং করে বকেয়া বিলের জন্য প্রায় দেড় হাজার গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করার প্রচারণা চালায়। এতে ভুক্তভোগীরা ফারুক ও তার প্রতিষ্ঠান ইন্টার্ণ ব্যাংকিং এন্ড কমার্সের বিরুদ্ধে রাস্তায় আন্দোলন শুরু করে, এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ২৩ জানুয়ারি ইন্টার্ণ ব্যাংকিং এন্ড কমার্সসহ ৩টি অফিস তালাবদ্ধ করে ফারুকসহ তার অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
এছাড়া প্রতারক ফারুক ওটুট বন্ধন নামে একটি এমএলএম ব্যাবসার নামে সমিতি প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা লাভবান হবার প্রলোভন দেখায়। এভাবে বিভিন্ন গ্রাহকদের থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ফারুক জানিয়েছে বিকাশ, নগদ এবং অনান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মতো বিল পরিশোধের জন্য নব ক্যাশ নামক সেবা চালু করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
ফারুকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য মিরপুর মডেল থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া তার সঙ্গে তিতাসের কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডরিং মামলাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে হৃদয় নামের একজন ভুক্তভোগী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার পর তিতাস মাইকিং করে জানিয়েছে তারা বিল পায়নি। তারা যদি আগে গ্রাহকদের জানাতো তাহলে ওমর ফারুককে তথনই গ্রেপ্তার করা যেতো।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/আরএ