ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

বৃদ্ধার মাথা ফাটালেন ছাত্রলীগ নেতা, হয়নি মামলা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২১, ২২:৫০

বৃদ্ধার মাথা ফাটালেন ছাত্রলীগ নেতা, হয়নি মামলা

রাজধানীর শুক্রাবাদ এলাকায় ময়লার বিল সংগ্রহকে কেন্দ্র করে রহিমা বেগম (৭৩) নামের একজন বৃদ্ধার মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কলাবাগান থানার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতা আবু সিদ্দিকী রুবেলের বিরুদ্ধে।

বুধবার দুপুরে শুক্রাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দরজায় লাথি মারলে বৃদ্ধার মাথা ফেটে যায়। তবে এই ঘটনায় এখনো কোন মামালা দায়ের হয়নি।

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুনশি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। ঘটনাটি বিষয়ে আমি জেনেছি, এসআই ঘটনাস্থলে কথা বলে আসছে। তবে এখনো এই ঘটনায় কেউ মামলা করতে আসেনি।

সূত্রে থেকে জানা জায়, শুক্রাবাদ এলাকার ‘ময়লা-বাণিজ্য’কলাবাগান থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিকী রুবেলের নিয়ন্ত্রণে।

এ বিষয়ে কলাবাগান থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, রুবেল আমার সঙ্গেই কাজ করেন। আমার ফার্মই ময়লা সরানোর টেন্ডার পেয়েছে। সে বেকার বলে তাঁকে শুক্রাবাদের ময়লার দায়িত্ব নিতে বলেছিলাম। ঘটনার পর তিনি মাফ চেয়ে এসেছেন।

এ ঘটনায় রহিমার সন্তান মো. আলাউদ্দিন বলেন, পাশের বাসায় ময়লার টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। সেখানে তর্কাতর্কি হয়েছে। আমাদের বাসার কলিংবেলও চেপেছিলেন রুবেল। মা দরজা খুলছিলেন। খুলে যাওয়া দরজায় লাথি দেন রুবেল। দরজা মায়ের কপালে লাগে। এতে কপাল ফেটে অনেক রক্ত ঝরেছে।

মূলত ঘটনাটা বৃদ্ধা রহিমা বেগমের পাশের ফ্ল্যাটে সুমন চন্দ্র দাসের ময়লার বিল দেয়া নিয়ে। মে মাসের ময়লার বিল ১০০ টাকা ও নৈশপ্রহরীর বিল ১০০ টাকা দেয়ার কথা ছিল তার। তবে ঘটনার পরপর পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, রুবেল আসেন এসে ‘ক্ষমা’চেয়ে চলে গেছে।

ঘটনাস্থলে এসে শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম বলেন, এক বাসার ময়লার বিল নিতে অন্য বাসায় গিয়েছিলেন। ময়লা নিতে গিয়ে দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে। আমি তাদের (ভুক্তভোগী) থানায় আসতে বলেছি।

প্রসঙ্গত, রাজধানীতে বাসাবাড়ি ও রেস্তোরাঁর বর্জ্য সংগ্রহ নিয়ে গড়ে উঠেছে অর্থ লুটপাটের বিশেষ চক্র রাজধানী বাসীকে জিম্মি করে বছরে অন্তত ৪৫০ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় কাউন্সিলরের লোকজন। তাদের ওপর দুই সিটি করপোরেশনের কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ নেই।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম/এফজেড

  • সর্বশেষ
  • পঠিত