ধামরাইয়ে একদিনে শিক্ষিকাসহ দুই নারীর লাশ উদ্ধার
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২১, ১৪:৫৪
ঢাকার ধামরাইয়ে একদিনে পৃথক স্থান থেকে দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর অবস্থা বিরাজ করছে।
সোমবার সকালে লাশ দুটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
জানা গেছে, পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাগুজিপাড়া মহল্লার নুর নাহার (৩২) গলায় ফাঁস দিয়ে ও উপজেলার আমতা ইউনিয়নের জোয়ার আমতা গ্রামের আলেয়া বেগম গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে মারা গেছেন। তবে তাদের মৃত্যুতে রয়েছে রহস্য।
নুর নাহার পৌরসভার বেজিরটেক এলাকার নুর হাসানের মেয়ে। তার মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী খোকন ও স্বামীর ছোট ভাই রাসেল পলাতক রয়েছেন। নুর নাহার দুই সন্তানের মা।
নুর নাহারের গলায় ও কপালে আগাতের চিহ্ন রয়েছে। আত্মীয় স্বজনের দাবি, নুর নাহারকে মেরে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে নুর নাহারের নানি সুরিয়া বেগম বলেন, নুর নাহার কখনো গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। সে একজন স্কুলশিক্ষিকা। কুমরাইল মহল্লায় মর্নিং ডিউ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা তিনি। নিয়মিত স্বামী খোকনের সাথে ঝগড়া লাগতো।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একাধিকবার নারী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এলাকায় খোকনের বিচার করা হয়েছে। সে আরেকটি বিয়ে করেছে। তার চরিত্রের কারণে পরিবারে সবসময় ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো।
অপরদিকে, উপজেলার আমতা ইউনিয়নের জোয়ার আমতা গ্রামে সকালে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আলেয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। নিহত আলেয়া বেগম মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রাম এলাকার মেয়ে।
এ ঘটনায়ও নিহতের স্বামী আলমগীর হোসেন পলাতক রয়েছেন। আলমগীর হোসেন আমতা ইউনিয়নের জোয়ার আমতা গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে।
দুটি মৃত্যু নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দুটি মৃত্যুকে রহস্যজনক বলছে সবাই। তবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা, এখনো সে বিষয়ে জানা যায়নি।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, নিহত নুর নাহারের গলায় ও কপালে দাগ রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। নুর নাহারের স্বামী ও দেবর পলাতক রয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে