ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

শনাক্তের ৬৮ শতাংশই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২১, ২২:০১  
আপডেট :
 ১৭ জুন ২০২১, ২২:৪০

শনাক্তের ৬৮ শতাংশই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট
ফাইল ফটো

রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত রোগীর ৬৮ শতাংশ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআরবি।

বৃহস্পতিবার আইসিডিডিআরবি জানিয়েছে, সম্প্রতি করা গবেষণায় তারা এমনটি দেখতে পেয়েছে।

এ বিষয়ে আইসিডিডিআরবির মিডিয়া ম্যানেজার একেএম তারিফুল ইসলাম খান বলেন, মে মাসের শেষ সপ্তাহ এবং জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ জুড়ে গবেষণা চালানো হয়। এ সময় করোনায় আক্রান্ত ঢাকার ৬০ জন বাসিন্দার নমুনা সংগ্রহের পর জিনোম সিকোয়েন্সিং করে সংস্থাটি এই তথ্য পেয়েছে।

তিনি বলেন, সংগৃহীত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখা গেছে, এর মধ্যে ৬৮ শতাংশ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, ২২ শতাংশ দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট এবং বাকি নমুনাগুলোর বড় অংশটি উহান ভ্যারিয়েন্ট ছিল। এর মধ্যে অল্প সংখ্যক মানে এক/ দুইটি ছিল নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্ট।

এদিকে বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার বাড়তে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, জুনের চার তারিখের আগ পর্যন্ত সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আজকের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ১৭ জুন সকাল পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

ইতোমধ্যে দেশের সীমান্ত এলাকার ১৫টি জেলায় করোনা সংক্রমণ ক্রমে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পেছনে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ভূমিকা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভারতে দ্রুত সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশ ঠেকাতে গত ২৬ এপ্রিল থেকে দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপরও সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার কথা জানা যায়। এ রকম বেশ কয়েকটি জেলায় শনাক্তের হার সম্প্রতি ৫০ শতাংশও ছাড়িয়েছে।

করোনাভাইরাসের বি ১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্টটি প্রথমে ভারতে শনাক্ত হয়। এই ভ্যারিয়েন্টের কারণেই দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হু হু করে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলেছে ডেল্টা নাম পাওয়া এই ভ্যারিয়েন্ট।

এর আগে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর জিনোম সিকোয়েন্সেও ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছিল। ৫০টি নমুনার মধ্যে ৪০টিতেই তখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়। তবে এর মধ্যে মাত্র দুটি নমুনা ছিল ঢাকার। বাকি নমুনাগুলো ছিল দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, পিরোজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও খুলনা জেলার। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণ শুরু হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল তখনই।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ঢাকা শহরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় করোনা পরিস্থিতি খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের মতো হয়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুন

দেশে দেড় মাসের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ মৃত্যু

যশোরে শয্যার চেয়ে রোগী বেশি: নতুন শনাক্ত ২০৩, মৃত্যু ৪

একদিনে আরো ৯ হাজারের বেশি প্রাণহানি

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত