ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪১ মিনিট আগে
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২১, ১৬:৪৯

কুষ্টিয়ায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ায় করোনা ভয়ঙ্কর রূপে ধারন করেছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯৯ নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন অফিস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ২০ শতাংশ।

নতুন শনাক্ত ১৫৬ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৭৭ জন, দৌলতপুরের ১৭ জন, কুমারখালীর ২৮ জন, ভেড়ামারার ১০ জন, মিরপুরে ১৯ জন ও খোকসার ৫ জন রয়েছে।

মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে তিনজন সদরের এবং একজন ভেড়ামারার উপজেলার বাসিন্দা। এ দিন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন আরও ৪১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ল্যাবে পাঠিয়েছে।

এ পর্যন্ত জেলায় ৫৫ হাজার ৯২২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। তারম ধ্যে ৫৪ হাজার ৯৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে।

বর্তমানে কুষ্টিয়ায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৯৭৬ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৭৯ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ৮৯৭ জন।

করোনার বিস্তার রোধে গত ১১ জুন থেকে আজ শুক্রবার ১৮ জুন পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের পৌর এলাকায় সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। তাছাড়া মিরপুর উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) থেকে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন মিরপুর পৌরসভা এলাকায়।

বিধিনিষেধের গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কুষ্টিয়া ও মিরপুর পৌর এলাকায় কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। এ ছাড়া সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকবে। শহরে কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।

সরেজমিনে শহরের এনএস রোডের কিছু দোকানপাট বন্ধ ছাড়া আর কোথাও বিধিনিষেধ মানতে দেখা যাচ্ছে না।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় রোগীদের ভিড় সামাল দিতে নতুন একটি করোনা ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। আগে করোনা ওয়ার্ডে ৭৪টি শয্যা ছিল। সেখানে এখন ২৬টি শয্যা যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে এ হাসপাতালে প্রায় ৭০ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে। করোনা রোগীর ভিড় সামাল দিতে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করাকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ায় এটাই সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু। সম্প্রতি কুষ্টিয়া পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু এখানে ছয়দিন ধরে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এরপরও কেন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তা গবেষণা করা প্রয়োজন। সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের মতো ব্যবস্থা নেয়া দরকার। হু হু করে করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি সামাল দেয়া বেশ কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত