ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

চুয়াডাঙ্গায় একদিনে ৩ মৃত্যু, শনাক্তের হার ৫১ শনাক্ত

  চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২১, ১৬:৫৩  
আপডেট :
 ২০ জুন ২০২১, ১৬:৫৯

চুয়াডাঙ্গায় একদিনে ৩ মৃত্যু, শনাক্তের হার ৫১ শনাক্ত
ফাইল ছবি।

চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৫১ দশমিক ১৩ শতাংশ। অপরদিকে শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।

রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ‌এসএম মারুফ হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফাতেহ্ আকরাম জানান, জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের মৃত এলাহী মন্ডলের ছেলে শুকুর আলী (৭০) ১৩ জুন বেলা ১১টার সময় করোনা উপসর্গ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইয়োলো জোনে ভর্তি করা হন। পরদিন নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে। পরে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের জ্বীনতলা মল্লিক পাড়ার মৃত আনিছুর রহমানের স্ত্রী ছালেহা বেগমকে (৭০) করোনা উপসর্গ নিয়ে ১২ জুন রাতে সদর হাসপাতালের ইয়োলো জোনে ভর্তি করা হয়। ১৬ জুন তার করোনা পজিটিভ আসে। এরপর তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়া দামুড়হুদা উপজেলার বৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ শেখের ছেলে আক্কাস আলী (৭০) গত ১৪ জুন করোনা উপসর্গ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইয়োলো জনে ভর্তি হন। ১৬ জুন তার করোনা পজিটিভ আসে। শনাক্তের পর তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেয়া হয়। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় তিনজনের মৃত্যু হলো। এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৮২ জনে। এর মধ্যে জেলায় ৭৩ জন এবং জেলার বাইরে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় নতুন শনাক্ত ৬৮ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ২৯ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৮ জন এবং জীবননগর উপজেলায় ৮ জন। এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৫৭১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৩৮ জন। বর্তমানে রোগীর সংখ্যা ৫৭১ জন। এর মধ্যে হোম আইসোলেশন আছে ৫১৯ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছে ৪৮ জন এবং রেফার্ড আছে ৪ জন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত