করোনাভাইরাস
গোপালগঞ্জে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২১, ১৬:২৪ আপডেট : ২২ জুন ২০২১, ১৬:২৯
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ৯ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকে জেলায় শুরু হয় এ লকডাউন। যা চলবে আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পযর্ন্ত।
সরেজমিন দেখা যায়, লকডাউনের প্রথম দিনে সকাল থেকেই জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নিয়ে মানুষকে সতর্ক করছে। শহরে চলাচলকারী ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ও অটোরিক্সা ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে লকডাউনের মধ্যেও বেশকিছু ইজিবাইক ও অটোরিক্সা চলাচল করতে দেখা গেছে।
নিত্যপণ্যের দোকান খোলা থাকলেও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শহরের প্রধান কাঁচা-বাজার খোলা থাকলেও তুলনামুলকভাবে ক্রেতা কম রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাইরে বের হতে মানা করা হলেও অনেকেই নানা অজুহাতে মাস্ক ছাড়াই বাইরে বের হচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে কোন পরিবহন ছেড়ে যায়নি। গোপালগঞ্জের কোন স্টেশন থেকে ভাটিয়াপাড়া-কালুখালিও গোপালগঞ্জ-রাজশাহী রুটের রেল চলাচল বন্ধ হয়েছে। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ দিনে জেলায় ২ হাজার ৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, জেলায় প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা জনস্বার্থের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। পরে সরকার লকডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ নেয়।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, গোপালগঞ্জে প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে সরকার জেলায় লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠ রয়েছে।
এরআগে স্থানীয় প্রশাসন করোনা সংক্রমণরোধে গোপালগঞ্জ পৌর এলাকা, সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়ন, কাশিয়ানী উপজেলা সদর ও মুকসুদপুর উপজেলা সদরে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিল। তা চলমান থাকতেই এ আদেশ জারি করা হয়েছিলো।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস
