ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জনসহ ৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

  সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২১, ২২:২৬

সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জনসহ ৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান। ফাইল ছবি

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের নামে ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার ২২২ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমানসহ ৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুন) সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা হলেন, সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান, সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক হিসাবরক্ষক আনোয়ার হোসেন, স্টোরকিপার এ.কে.এম ফজলুল হক, ঢাকার সেগুনবাগিচার মেসার্স বেঙ্গল সায়েন্টিফিক এন্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির সত্ত্বাধিকারী জাহের উদ্দিন সরকার, নয়াপল্টনের মেসার্স মাকেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী ও অংশীদার আব্দুর ছাত্তার সরকার, একই এলাকার মেসার্স মাকেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী ও অংশীদার আহসান হাবিব, ইউনিভার্সেল ট্রেড কর্পোরেশনের সত্ত্বাধিকারী আসাদুর রহমান, মেসার্স মাকেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার কাজী আবু বকর সিদ্দীক ও মহাখালী নিমিউ এন্ড টিসির অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী এ.এইচ.এম আব্দুস কুদ্দুস।

সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. আসাদুজ্জামান দিলু জানান, সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমানসহ ৯ জন চিকিৎসা সংক্রান্ত মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের নামে তিনটি বিলের বিপরীতে মোট ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার ২২২ টাকা সাতক্ষীরা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে তিনটি চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের নেতারা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। তারা ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও করেন এবং প্রধানমন্ত্রী ও দুদক চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

পরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক ও বর্তমান সহকারী পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন ২০১৯ সালের ৯ জুলাই সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আসামিরা হাইকোর্টের নির্দেশে কয়েক দফায় সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করার পর জামিনে মুক্তি পান। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে এজাহারভুক্ত সকল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

অ্যাড. আসাদুজ্জামান দিলু আরও জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিরা যাতে দেশত্যাগ না করতে পারে, সেজন্য গত ৯ জুন সংশ্লিষ্ট আদালতে একটি আবেদন করেন। গত ১৬ জুন ভার্চুয়াল আদালতে ওই আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক শেখ মফিজুর রহমান তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত