ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

রসালো আনারসে জমে উঠেছে ফলের বাজার

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২১, ২০:১৩

রসালো আনারসে জমে উঠেছে ফলের বাজার

করোনা কালে অন্য মৌসুমি ফলের পাশাপাশি মিষ্টি রসালো ফল আনারসে জমে উঠেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ফলের বাজার।

সিলেটের শ্রীমঙ্গলের জলডুঙ্গী ও টাঙ্গাইলের মধুপুরের ক্যালেন্ডার জাতের আনারসের দেশে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় নানা জাতের আনারস জন্মালেও সিলেটের শ্রীমঙ্গলের জলডুঙ্গী ও টাঙ্গাইলের মধুপুরের ক্যালেন্ডার জাতের আনারস খেতে যেমন স্বাদ তেমনি মিষ্টি ও ঘ্রাণের দিক থেকেও অদ্বিতীয়।

শ্রীমঙ্গলে বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষাবাদ শুরু হয় ৭০-এর দশক থেকে। শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পাহাড়ি দুর্গম এলাকার টিলায় সারি সারি বাগানে প্রচুর পরিমান জলডুঙ্গী জাতের আনারসের ফলন হয়। এসব বাগান থেকে মওসুম ছাড়াও সারা বছর আনারস উৎপাদিত হয়।

সেখান থেকে সারা দেশের ফলব্যবসায়ীদের মতো ফুলবাড়ীর ফল ব্যাসায়ীরাও হাজার হাজার আনারস সংগ্রহকরে ট্রাকে করে বাজারে নিয়ে এসে খুচরা এবং পাইকারি বিক্রয় করছেন।

ফুলবাড়ী বাজারের ফল ব্যবসায়ী সাদেক আলীসহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকেই শ্রীমঙ্গলের এই আনারস আসতে শুরু করে আষাঢ় মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়, অন্য বছরের চেয়ে এবার রেকর্ড পরিমাণ আনারস উৎপাদন হয়েছে।

অন্য জাতের আনারস জোড়া হিসেবে বিক্রি হলেও শ্রীমঙ্গলের আনারস ওজনে বিক্রি হয়। যা প্রতি কেজি আনারস বাজারে বিক্রি হয় খুচরামুল্য ৬০টাকা থেকে ৮০টাকা কেজি পর্যন্ত।

এর পাশাপাশি বাজারে উঠতে শুরু করেছে টাঙ্গাইলের মধুপুরের ক্যালেন্ডার জাতের আনারস। এ জাতের আনারস প্রতি জোড়া বিক্রি হয় ৮০-১শ টাকা পর্যন্ত।

ফল কিনতে আসা দিলশাদ হোসেন বলেন, চিকিৎসকরা বলছেন করোনার এ সময় পুষ্টি জাতীয় খাবার খেতে তাই ফল কিনতে এসেছি। অন্য অরেক ক্রেতা রাহাদ গাজী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিদিন অন্য খাবারের সাথে কিছু ফল খাওয়া প্রয়োজন তাই ফল নিতে এসেছি।

আগে দিন-রাত ফল বেচা কেনা করলেও করোনার কারণে বর্তমানে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ফল বিক্রি করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা। এতে তাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কারণ পর্যাপ্ত ফল কেনাবেচার উপযুক্ত সময় এখন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত