ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ঢাকার সরকারি ৮ হাসপাতালে ফাঁকা নেই আইসিইউ বেড

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২১, ০০:৪৯  
আপডেট :
 ০৮ জুলাই ২০২১, ০১:১১

ঢাকার সরকারি ৮ হাসপাতালে ফাঁকা নেই আইসিইউ বেড

দেশে করোনা সংক্রমণ তীব্র হয়ে ওঠেছে। বুধবার একদিনে সর্বোচ্চ ২০১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ১৬২ জন। ভীড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। সংকটাপন্ন করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শয্যার সংকট তৈরি হয়েছে। রাজধানীর ১৬টি সরকারি হাসপাতালের মধ্যে আইসিইউ বেড আছে ১৩টিতে। এর মধ্যে ৮টিতে কোনো আইসিইউ বেড ফাঁকা নেই। অনেক বেসরকারি হাসপাতালেও আইসিইউ সিট নেই।

রাজধানীর সরকারি হাসপাতাগুলোর মধ্যে মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ন্যাশলাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিনেস এন্ড ইউরোজলজি এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস হাসপাতালের আইসিইউ বেড নেই। বাকি ১৩টি সরকারী হাসপাতালের মধ্যে চারটিতেকিছু সংখ্যক আইসিইউ শয্যা রয়েছে। সেগুলো হলো- জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে দুটি, শ্যামলীতে ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালে তিনটি, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তিনটি, বিএসএমএমইউতে দুটি ও ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিস-১৯ হাসপাতালে ৭৫টি আইসিইউ বেড খালি রয়েছে।

বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬টি, স্কয়ার হাসপাতালে দুটি, ইউনাউটেড হাসপাতালে দুটি, এভার কেয়ার হাসপাতালে একটি, ইমপালস হাসপাতালে ২৩টি, জাপান ইস্ট ও জয়েন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২টি, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে পাঁচটি, এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১১টি, ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আটটি, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল হাসপাতালে ২০টি, জয়নুল হক সিদকার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে পাঁচটি, বেটার লাইফ হাসপাতালে ২০টি, ফেমাস হাসপাতালে তিনটি, বিআইএইচএস হাসপাতালে ছয়টি, সাজেদা হাসপাতালে একটি, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে একটি আইসিইউ বেড খালি রয়েছে।

দেশে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল রয়েছে সরকারি-বেসরকারি মিলে ১২৯টি। ঢাকায় ৪৩টি। সারাদেশে সাধারণ বেড রয়েছে ১৪ হাজার ৭৯৯টি। আইসিইউ বেড রয়েছে এক হাজার ২১৫ টি।

ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেডের সংকট তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারটি, বিআইটিআইটি (ফৌজদারহাট) চট্টগ্রামে পাঁচটি, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তিনটি ও কক্সবাজারে (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) চারটি আইসিইউ শয্যা খালি রয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগে দুটি খালি রয়েছে। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে একটি, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০টি এবং টিএমএসএস বগুড়ায় ছয়টি আইসিইউ শয্যা খালি রয়েছে।

রংপুর বিভাগের মধ্যে রংপুর ডেডিকিটেড করোনা হাসপাতালের দুটি ও রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল হাসপাতালে একটি আইসিইউ শয্যা খালি রয়েছে।

খুলনা বিভাগের মধ্যে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে তিনটি, বক্ষব্যাধি হাসপাতালে একটি, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ চারটি, সরকারি হাসপাতালে তিনটি, মেহেরপুরের ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতাল দুটি, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আটটি আইসিইউ শয্যা খালি রয়েছে।

বরিশাল বিভাগের মধ্যে শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২টি, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তিনটি আইসিইউ শয্যা খালি রয়েছে।

সিলেট বিভাগের মধ্যে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে একটি ও মৌলভিবাজারে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে চারটি আইসিইউ শয্যা খালি রয়েছে।

এদিকে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সারাদেশের হাসপাতালগুলো। দেশের অন্তত ১০টি হাসপাতালে ধারণক্ষমতার বাইরে গিয়ে করোনা আক্রান্ত ও করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ কমাতে না পারলে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে পড়বে। কারণ যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, সেই হারে দ্র কোভিড চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ জার্নাল-ওআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত