ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

এ বছরের মধ্যে চালু হচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২১, ০২:৩৭  
আপডেট :
 ০৮ জুলাই ২০২১, ০৩:১২

এ বছরের মধ্যে চালু হচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

২০১২ সালে বাগেরহাট জেলার রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। উপজেলার সাপমারি-কাটাখালী ও কৈর্গদাশকাঠি এলাকায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৪ সালে।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, এক হাজার ৮৩৪ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কারণে নির্মাণকাজ শেষ হতে কিছুটা দেরি হলেও ডিসেম্বরের মধ্যেই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করতে চায় সরকার।

সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের নির্মাণকাজ ৮০ শতাংশ শেষ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের কর্মকর্তারা বলেছেন, কোভিড-১৯ বাধা কাটিয়ে বাকি কাজ শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে উৎপাদনে যাবে বলে তারা আশা করছেন।

বাসস তাদের খবরে জানিয়েছে, দুই দেশের বিদ্যুৎ সচিবদ্বয়ের মধ্যে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের একদিন পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আশা করছি, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট নির্ধারিত সময় অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরু করতে পারবে। এ সময়ের ভেতর ইউনিটটি চালু করতে পারব বলে আমরা আস্থাবান।’

তিনি বলেন, প্রথম ইউনিটটি ৬০৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সহায়তায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ অলোক কুমারের সাথে একটি অনলাইন বৈঠক করার একদিন পর এ মন্তব্য এলো। এ ক্রস-কান্ট্রি সম্মেলনে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলো যোগ দেয়।

পরে ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, উভয় কর্মকর্তা পরিবেশ রক্ষায় প্রযুক্তি ও সক্ষমতার দিক থেকে আল্ট্রা-সুপার হিসাবে পরিচিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যথাসময়ে চালু করার উদ্দেশ্যে ‘কিছু জটিল সমস্যা’ চিহ্নিত ও এ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা প্রকল্পটি যথাসময়ে শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছি।’

ভারতীয় পক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পর্কিত সঞ্চালন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের সাথে মিল রেখে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত