রূপগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
পুড়ে অঙ্গার হওয়া লাশ দ্রুত দাফনের পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২১, ১৫:৪৬
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকার হাসেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজে (সেজান জুসের কারখানা) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫২ জন শ্রমিক মারা গেছেন। দু-একটি ছাড়া বাকি মরদেহগুলো পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। নিহত এসব শ্রমিকদের মরদেহ যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দাফন করার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাকসুদ।
শনিবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালে জায়গার সঙ্কট দেখা দেয়ায় ইতোমধ্যে ১৫টি মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ঢামেক হাসপাতালের মর্গে কয়েকটি মরদেহ রাখা হয়েছে। তবে মরদেহগুলো মর্গে রাখা হলেও দ্রুত দাফনের ব্যবস্থা করা না হলে পচে-গলে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে। এতে করে পরিবেশ দূষণ ঘটবে।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাকসুদ আরো জানান, তার নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে তিন সদস্যের একটি দল ৪৮টি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে। দু-একটি ছাড়া বাকি মরদেহগুলো পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। দেখে চেনার কোনো উপায় নেই। এগুলোতে পচন ধরে দুর্গন্ধ ছড়াবে। এতোগুলো লাশ মর্গের মরচুয়েরিতে রাখার মতো ব্যবস্থাও নেই। ডিএনএর মাধ্যমে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে নমুনা হিসেবে বুকের পাঁজর সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
‘যেহেতু মরদেহগুলো দেখে চেনার উপায় নেই তাই রানা প্লাজা ও অন্যান্য দুর্ঘটনায় নিহতদের যেভাবে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিলো এই লাশগুলোও দ্রুত দাফন করে ফেলা দরকার’ বলেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাকসুদ।
তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে প্রস্তাবনা ও পরামর্শও দেয়া হবে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মরদেহগুলো কখন দাফন করা হবে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
গত ৮ জুলাই বিকেলে সেজান জুসের ওই কারখানায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ১৮টি ইউনিটের চেষ্টায় ২৯ ঘণ্টা পর ৯ জুলাই রাতে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ঘটনার প্রথম দিন তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আহত হন অর্ধশত শ্রমিক। এরপর গত ৯ জুলাই ভবনটি থেকে এক এক করে ৫২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন- রূপগঞ্জের কারখানা মালিক হাসেম ও ছেলে সজিবসহ আটক ৮
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ