চুরির অভিযোগে কিশোরকে গাছে বেঁধে রাতভর নির্যাতন
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২১, ২০:৩৭
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় চুরির অভিযোগে হীরা মিয়া (১৭) নামের এক কিশোরকে গাছে বেঁধে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ওই কিশোরের মা গুলে আক্তার বাদী হয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে চারজনের নাম উল্লেখসহ ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে বিকেলেই আদালতে পাঠায় পুলিশ। হীরা মিয়া উপজেলার মোজাফরপুর গ্রামের গোপিনাথ পাড়ার মৃত করিম মিয়ার ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন- মো. আলীর দুই ছেলে জামিরুল ইসলাম (৩৪) ও কামরুল ইসলাম (২৭), মৃত হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে এমদাদুল হক ভূঁইয়া এবং মৃত তারু মিয়ার ছেলে শহীদ (৫০)। তারা সকলেই উপজেলার মোজাফরপুর মড়লপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে শহীদ ছাড়া বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার বাদী গুলে আক্তারের অভিযোগ, আসামিরা মোজাফরপুর গ্রামে রুবেল মিয়ার বাড়ির সামনে সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে হীরা মিয়াকে। তার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে চড়-থাপ্পর মেরে জখমসহ শারীরিক নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হীরাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য আকুতি-মিনতি করেন তিনি। কিন্তু তার ছেলেকে ছাড়েনি এবং পুলিশের কাছেও তুলে দেয়নি। পরে এমদাদুল হক ভূঁইয়ার হাঁসের হ্যাচারিতে শিকল ও রশি দিয়ে বেঁধে রেখে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নির্যাতন করা হয় তার ছেলেকে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
জানা যায়, এর আগে রোববার (১১ জুলাই) দিবাগত রাত রাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মোজাফরপুর মড়লপাড়া গ্রামে মেনু মিয়ার পানি তোলার মোটর চুরি করার সময় হাতেনাতে আটক করা হয় হীরা মিয়াকে। পরে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। তা কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নজরে আসলে কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ।
কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, অবৈধভাবে কিশোরকে আটকে রেখে আঘাত ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলার পরপরই বিকেলে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের আদালাতে পাঠানো হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে