ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ধামরাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কামাররা

  মো. রুহুল আমিন, ধামরাই প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২১, ১৬:১৫

ধামরাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কামাররা

মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও ব্যস্ত সময় পার করছেন ধামরাইয়ের স্থানীয় কামাররা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখেই পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটিসহ অনেক সরঞ্জাম।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধামরাইয়ের কালামপুর বাজার, ধামরাই, গোয়ালদি, দেপাশাই আমতলী বাজার, শরীফবাগ বাজার, ধানতারা, কাওয়ালীপাড়াসহ ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় কামাররা ব্যস্ত সময় পার করছেন পশু কোরবানি ও মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে।

পশু কোরবানির জন্য নতুন করে দা, ছুরি, চাপাতি তৈরি করছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ পুরাতন সরঞ্জামেই শান বা লবণ-পানি দেয়ার কাজ করাচ্ছেন।

শরীফবাগ বাজারে আব্দুল গফুর জানান, আমি প্রতি বছরই কোরবানির ঈদে গরু কোরবানি দেই। এবারো কোরবানি দিবো। কিন্তু করোনার জন্য এখনো গরু দেখতে যাই নাই। ঈদের আগের দিন গরু কিনবো। খোঁজ খবর রাখছি কোথায় দেশি ভালো গরু পাওয়া যাবে। কয়েক দিন পর থেকে কামারের দোকানেও অনেক ভিড় হবে। তাই আগে থেকেই ছুরি ও চাপাতিতে শান দিয়ে রাখছি।

সাইফুল ইসলাম নামে একজন জানান, আমি দুই ঘণ্টা হয় আসছি। কামারের দোকানে ভিড় অনেক। সবাই আগে থেকেই ছুরি, দা তৈরির জন্য ওয়ার্ডার দিয়ে রাখতেছে। আমি আসছি আমার একটি চাপাতি বানাতে হবে। তাই আগে থেকেই বানানোর জন্য বায়না দিতে আসছি এবং পুরাতন দা, ছুরিতে শান দিয়ে নিয়ে যাবো।

গোয়ালদী এলাকার কামার শ্যামল দাশ বলেন, লকডাউনের কারণে এত দিন কাজ বন্ধ থাকার কারণে তেমন কাজ হয় নাই। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন একটু কাজ হচ্ছে।

শ্যামল দাশের বাবা মাহিন্দ্র দাশ বলেন, দুই বছর ধরে করোনার জন্য কাজ করতে পারি না। করোনা না থাকলে ঈদের এক মাস আগে থেকেই দোকানে ভিড় থাকে। আর করোনার কারণে দামও কম এখন। কিন্ত কয়লার দাম বেশি থাকায় আমাদের লাভ কম হচ্ছে।

তিনি জানান, ছুরি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, দা আকৃতির সরঞ্জাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা। তবে লোহার আকৃতির কারণে এর দাম কম বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া পুরানো দা, বটি, ছুরি শান দিতে বা লবণ-পানি দিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়ে থাকে। নতুন আধুনিক অনেক সরঞ্জাম আসাতে আমাদের কাস্টমার আগের থেকে অনেক কমে গেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত