ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

গাজীপুরে বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২১, ২১:২৭

গাজীপুরে বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের লক্ষীপুরা ও বড়বাড়ি এলাকায় দুইটি কারখানায় বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল ছুঁড়ে উত্তেজিত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

গাজীপুর মহানগরের লক্ষীপুরা এলাকার স্টাইল ক্রাফটস নামের পোশাক কারখানার স্টাফ মাসুদ রানা জানান, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড নামের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চার হাজার শ্রমিক ও প্রায় ৭০০ স্টাফ রয়েছে। ওই কারখানার শ্রমিকদের গত ৭ জুলাই বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন ও ঈদ বোনাস না দিয়ে নানা ধরনের তালবাহানা করতে থাকে। পরে শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে গত মঙ্গলবার থেকে বেতন ও বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।

গত ৬-৭ দিন ধরে শ্রমিকরা জয়দেবপুর-ঢাকা সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। গত শনিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক শ্রমিকদের বেতন আদায় করে দেয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু তারপর রোববার সকালেও শ্রমিকরা ঈদ বোনাস ও বেতনের জন্য অপেক্ষা করে বেতন-বোনাস পায়নি।

পরে রোববার দুপুরে শ্রমিকরা কারখানার পাশে থাকা জয়দেবপুর-ঢাকাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এসময়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

কারখানার শ্রমিক আসাদুল মিয়া জানান, শ্রমিকরা গত জুন মাসের বেতন পাবে সঙ্গে ঈদ বোনাস আর স্টাফরা সাত মাসের বেতন পাবে। কিন্তু মালিক পক্ষের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

কারখানার মালিক সামস আলমাসের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সমির চন্দ্র সূত্রধর বলেন, পুলিশ শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে অবরোধ সরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ওই সড়কে শ্রমিক অবরোধ থাকায় ঘটনাস্থলের উভয় দিকে সকল যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। কারখানাগুলির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে গাছা থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বড়বাড়ি এলাকায় রোববার সকাল ১০ টার দিকে ন্যাশনাল কেমিক্যাল কারখানার শ্রমিকরা তিন মাসের বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে। এতে উভয়দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়। এর পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

কারখানার শ্রমিক আবদুল লতিফ বলেন,তারা গত তিন মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পাওনা রয়েছে। বেতন না পাওয়ায় ঈদে বাড়ি যেতে পারছে না তারা। ঘর ভাড়া ও দোকানের বাকি দিতে পারছে না। এরআগে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিলেও তাদের কোন প্রতিকার মিলেনি।

কারখানার জিএম’র সঙ্গে ফোনে ওসির কথা হলে তিনি তাকে জানান, যেহেতু গত রোজার ঈদের আগে থেকে কারখানা বন্ধ রয়েছে এবং শ্রমিকরাও কোন কাজ করেনি। তাই তাদের বেতন-বোনাস দেব কিভাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত