কোরবানির হাট মাতাতে প্রস্তুত শেরখান ও পালোয়ান
নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২১, ২০:২৪ আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২১, ২০:২৯
নরসিংদীর চরাঞ্চলে শখের বশে আওলাদ হোসেন লালন পালন করেন বড় আকৃতির দুইটি গরু। আদর করে নাম রাখেন পালোয়ান ও শেরখান। লালন পালনে যত্মের কোন ত্রুটি করেননি খামারী। খাওয়ান দেশীয় খাবার।
এবারের ঈদে আকর্ষণীয় এই দুটি গরু হাটে তুলবেন সদর উপজেলার নজরপুর গ্রামের সৌখিন খামারী আওলাদ হোসেন। প্রায় ৩২ মণ ওজনে পালোয়ানের দাম ১৩ লাখ ও ২৮ মন ওজনের শেরখানের দাম ১২ লাখ টাকা হাঁকছেন।
আওলাদ হোসেন জানান, দুই বছর আগে ব্রাহমা জাতের একটি ষাড় গরু ও সাত মাস আগে ফ্রিজিয়ান জাতের আরও একটি ষাড় গরু ক্রয় করে পালন শুরু করেন। আদর করে প্রথমে কেনা গরুটির নাম রেখেছেন শেরখান। পরে কেনা অপরটির নাম রাখেন পালোয়ান। মাঠের সবুজ ঘাস খাওয়ানোর পাশাপাশি দেশীয় খাবার খৈইল, কুড়া, সয়াবিন, চাউলের খুদ, ছোলা, ভুষি ও খড় খাইয়ে লালন পালন করা হয়েছে পালোয়ান ও শেরখানকে।
খামারী আওলাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা অনেক যত্নে পালন করেন গরু দুটি। দীর্ঘদিন ধরে লালন পালন করা ও আকর্ষণীয় হওয়ায় বিশাল আকৃতির গরু দুটি দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী। কেনার জন্য বাড়িতে আসছেন ক্রেতারাও। করছেন দর কষাকষি।
খামারী বলেন, আমি নিজে একা উদ্যোগী হয়ে গরু দুটি লালন পালন করছি। আমি চেষ্টা করবো বাড়ি থেকেই পালোয়ান ও শেরখানকে বিক্রির জন্য। বাড়ি থেকে যারা কিনবেন তাদের বিশেষ ছাড় দেয়া হবে। আমি যদি এই গরু দুটি বিক্রি করে লাভবান হতে পারি তাহলে হয়ত অন্যরা এমন গরু পালনে আগ্রহী হবে।
সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আওলাদ হোসেন একজন সৌখিন খামারি। তিনি প্রতি বছরই এমন বড় ধরনের একাধিক গরু প্রতিপালন করেন। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে গরু দুটি লালন পালনের জন্য কাঁচা ঘাসের পাশাপাশি দেশিয় বিভিন্ন খাবারের মিশ্রন খাওয়ানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। তিনি সেভাবেই কোন প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই গরু দুটি বড় করেছেন। আমার জানামতে জেলায় এই দুটি গরু এবার কোরবানির জন্য সবচেয়ে বড় গরু।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ