ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঈদ শেষে লকডাউনের প্রথম দিন

ঢাকা ফিরেই বিড়ম্বনায় মানুষ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২১, ১৩:০৭  
আপডেট :
 ২৩ জুলাই ২০২১, ১৩:১৪

ঢাকা ফিরেই বিড়ম্বনায় মানুষ
ছবি সংগৃহীত

ঈদ শেষে কঠোর বিধিনিষেধেও ফিরছে মানুষ। যে যেভাবে পারছেন রওনা দিয়েছেন ঢাকার উদ্দেশে। আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ভোর থেকেই অধিক ভাড়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে শুরু করে ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।

মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়, এলেঙ্গা, রাবনা বাইপাস, টাঙ্গাইল বাইপাস, গোড়াই, মির্জাপুরসহ বিভিন্ন বাসটার্মিনালে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়ও দেখা গেছে। কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

দিনাজপুরের সদর থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে পরিবার নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন সোহেল হোসেন। ভোরের দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু এসে যানজটে পড়েন। তাদের বহনকারী বাস সেতু পার হতেই সকাল হয়ে যায়।

পরে সকাল ৯ টার পর মহাসড়কে পুলিশের টহল শুরু হলে সোহেল হোসেনদের বহনকারী বাস আটকে দেন তারা। এদিকে বিধিনিষেধ থাকায় রিকশার সংখ্যাও হাতেগোনা। অগত্যা স্ত্রী ও শিশু পুত্রসন্তানকে নিয়ে এলেঙ্গা থেকে পায়ে হেঁটে পরে রিকশায় করে ঢাকার শ্যামলী পর্যন্ত এসেছেন। পথে তাদের বেশ কয়েক জায়গায় পুলিশ চেকপোস্টের মুখোমুখি হতে হয় তাদের।

তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘আজ থেকে ১৪ দিনের লকডাউন। কিন্তু ঢাকায় ফিরতেই হবে। তিনি কাজ করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। যেটি লকডাউনেও খোলা রয়েছে। তাই ঈদের পর দিনই তাকে তরিঘড়ি করে ঢাকায় ফিরতে হয়েছে।’

কেবল এই সোহেল হোসেন নয়, রাজধানীর রাজপথ ধরে গন্তব্যের উদ্দেশে দীর্ঘ সময়ব্যাপী হাঁটতে থাকা তার মতো হাজার হাজার যাত্রী বেকায়দায় পড়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর সড়কে সড়কে নারী পুরুষ এমনকি শিশুরাও ভারি ভারি ব্যাগ ও বোঝা নিয়ে মাথায় কিংবা কাঁধে করে বাসার উদ্দেশে হাঁপাতে হাঁপাতে ছুটে চলছেন। কোথাও কোথাও পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবির কাছে কৈফিয়তও দিতে হচ্ছে তাদের।

শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীতে বন্ধ গণপরিবহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশাও। রিকশার সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা। অকারণে, অবাধে ঢাকায় প্রবেশ ঠেকাতে ঢাকা জেলার গাবতলী, ধানমন্ডি, পোস্তগোলা, জুরাইন, যাত্রাবাড়ি, গুলিস্তান, রমনা, শাহবাগসহ পুরো রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল ছিল চোখে পড়ার মতো।

তারা বলছেন, রাতে যে সমস্ত বাস উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসছিলো সেই বাসগুলো গন্তব্যে যেতে সকাল হয়ে গেছে। তবে এখন কোনো বাস আসলে তা ফেরত দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও মামলা দেয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, আট দিন শিথিল থাকার পর ২৩ জুলাই শুক্রবার থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। ১৪দিনের এই লকডাউন চলবে ৪ আগস্ট পর্যন্ত। এর আগে ঈদুল আজহার সময় মানুষের চলাচল ও পশুরহাটে কেনাবেচার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করেছিল সরকার।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত