ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

কারণে অকারণে রাজপথে মানুষ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২১, ১২:২৭  
আপডেট :
 ২৫ জুলাই ২০২১, ১৩:৩২

কারণে অকারণে রাজপথে মানুষ

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন কারণে অকারণে মানুষ রাস্তায় বের হয়েছে। চেকপোস্টগুলোতে পুলিশের কঠোর নজরদারি থাকলেও সেগুলোও এড়িয়ে চলছেন নগরবাসী।

রোববার সকালে রাজধানীর মাতুয়াইল, শনির আখড়া, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, জিগাতলা, সিটি কলেজ মোড়, রাসেল স্কয়ার মোড় এবং গণভবন চেকপোস্ট ঘুরে দেখা যায়, চেকপোস্টগুলোতে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন ঠিকই, তবে রাস্তায় চলছে শত শত গাড়ি।

ব্যক্তিগত গাড়িগুলোতে চিকিৎসক, নার্স, ব্যাংকের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলাচল করছেন। এছাড়া বেশিরভাগ মোটরসাইকেলে চলছেন বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির কর্মীরা। এছাড়াও বহু মানুষ রাস্তায় বের হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই বলছেন, হাসপাতালে রোগীকে খাবার দিতে যাচ্ছেন অথবা রোগী দেখতে যাচ্ছেন।

কাজলা বাস স্ট্যান্ডে কথা হয় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক গাজী সাঈদ জুম্মনের সঙ্গে। বিধিনিষেধে মোটরসাইকেলে দুইজন চলাচল নিষেধ, তবুও কি করে যাত্রী পরিবহন করেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে জুম্মন বলেন, ভাই সব কিছু সিস্টেমে চলে। চেকপোস্টের আগে আমরা যাত্রীদের নামিয়ে দেই। আবার চেকপোস্ট পার হয়ে তাদের তুলি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চেকপোস্টের এড়িয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে যাই।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সঙ্গে পেট আছে, পুলিশ তো আমাদের খাবার দিচ্ছে না। নিজের খাবারটা নিজেকে জোগাড় করে খেতে হচ্ছে। তাই ফাঁকি দিয়ে হলেও নিজের পেট চালানোর চেষ্টা করছি।

চেকপোস্টগুলোতে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা বলছেন, সবাই কাজে যাচ্ছে। আমরা ১০০ গাড়ি থামালেও কাউকে আটকাতে পারছি না। গাড়ি ইশারা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির গ্লাস নামিয়ে কেউ বলেন ব্যাংকে যাচ্ছি, হাসপাতালে যাচ্ছি, টিকা দিতে যাচ্ছিসহ নানা বিষয়। কাউকে আটকে রাখার সুযোগ নেই। প্রথম দিন আমরা ডাক্তার বা হাসপাতাল রিলেটেড ছাড়া কাউকে যেতে দেইনি। আর আজ যুক্ত হয়েছে ব্যাংক। নিশ্চয়ই একদিন পরে আরও কোনো না কোনো কিছু যুক্ত হবে এই কাতারে। এভাবেই বাড়তেই থাকবে রাস্তাঘাটে গাড়ি ও মানুষের সংখ্যা।

রাসেল স্কয়ার মোড়ে দায়িত্ব পালন করা ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মোহাম্মদ সাদ্দাম বলেন, আজ ব্যাংক খোলা, রাস্তায় অনেক গাড়ি। প্রতিটি গাড়িতে থাকা মানুষ কোনো না কোনো কাজে যাচ্ছে। ডাক্তার, নার্সরা তো আছেনই, এর বাইরে কেউ হাসপাতালে রোগী দেখতে, খাবার দিতে যাচ্ছেন। অন্যদিকে কেউ ব্যাংকে টাকা জমা দিতে বা উঠাতে যাচ্ছে। শত মানুষ শত কাজে বের হয়েছেন। তবে অনেকে অকারণেও বের হয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত