ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

নগরজুড়ে রিকশার দাপট, ভাড়াও দ্বিগুণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২১, ১২:৪৬

নগরজুড়ে রিকশার দাপট, ভাড়াও দ্বিগুণ
ছবি: সংগৃহীত

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নগরজুড়ে ফাঁকা রাস্তার সর্বত্রই এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিকশা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গণপরিবহন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ থাকলেও অবাধে চলছে রিকশা। মূলত এখন ঢাকার রাস্তা রিকশার দখলে চলে গেছে। আর গণপরিবহ না চলায় যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন রিকশা চালকরা।

কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থদিন সোমবার রাজধানীর শান্তিনগর, কাকরাইল, ফকিরাপুল, রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, পল্টন ও মতিঝিল অঞ্চল ঘুরে এবং যাত্রী ও রিকশা চালকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রিকশাচালকরা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন দ্বিগুণ বা তারও বেশি ভাড়া আদায় করছেন। কর্মক্ষেত্রে যেতে যাত্রীরা রিকশাচালকদের বাড়তি ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

এদিকে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ মানতে নারাজ রিকশাচালকরা। তারা জানায়, ঝুঁকি মাথায় নিয়ে তারা বাইরে বের হয়েছেন। যাত্রীরা যেখানে বলছেন সেখানে যাচ্ছেন। তার জন্য তো কিছুটা বাড়তি ভাড়া দিতে হবে।

রিকশাচালকরা আরও বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন যাত্রী অনেক কম পাওয়া যাচ্ছে। আগে যে সময়ের মধ্যে ৮-১০টি ভাড়া পাওয়া যেত, এখন সেখানে ৩ থেকে ৪টি ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারণ করা এই বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংক, বীমা ও শেয়ারবাজার খোলা রয়েছে। এর সঙ্গে কোরবানির পশুর চামড়া সংশ্লিষ্ট খাত, খাদ্যপণ্য এবং করোনা প্রতিরোধে পণ্য ও ওষুধ উৎপাদনকারী শিল্প বিধিনিষেধের বাইরে রয়েছে।

তবে সরকারি-বেসরকির অফিস, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রফতানিমুখী সবকিছু বন্ধ থাকায় এবার অন্যান্য বারের বিধিনিষেধের তুলনায় রাস্তায় মানুষের চলাচল তুলনামূলক কম। ফলে গাড়ি চলাচলও কম। কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল চলাচল করলেও রাস্তায় সব থেকে বেশি চলছে রিকশা।

রামপুরা থেকে রিকশায় মতিঝিলের উদ্দেশে রওনা করা একজন বলেন, মতিঝিলের একটি বীমা কোম্পানিতে কাজ করি। আমাদের অফিস খোলা রয়েছে। নিয়মিত অফিস যেতে হয়। বাস চলছে না, তাই বাধ্য হয়ে রিকশায় যেতে হচ্ছে।

রাস্তায় এক রিকশাচালক বলেন, দুদিন ধরে রাস্তায় রিকশা চলাচল বেড়েছে। যাত্রীও কিছু পাওয়া যাচ্ছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যাত্রী অনেক কম। অফিস সময়ে কিছু যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে।

এক অফিস কর্মী বলেন, অফিস যেতে সবসময় রিকশা ভাড়া নিতো ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গতকাল ১৯০ টাকা ভাড়া দিয়ে গেছি। আজ ১৮০ টাকার নিচে কোনো রিকশা পাইনি। ফলে বাধ্য হয়েই এই বাড়তি ভাড়া দেয়া লাগছে। বাস চললে অল্প টাকা খরচেই অফিস যাওয়া যায়। অফিস খোলা রেখে বাস বন্ধ রাখায় আমাদের ভুগতে হচ্ছে বেশি।

একই কথা বলেন যাত্রাবাড়ি থেকে পল্টনের একটি অফিসে আসা এক অফিস কর্মী। তিনি জানালেন যাত্রাবাড়ি মোড় থেকে পল্টন পর্যন্ত রিকশা ভাড়া নিয়েছে ১৭০ টাকা। এর নিচে কেউ আসতে চায় না। এই গরমে হেটে আসাও সম্ভব না। তাই বাড়তি ভাড়া দিয়েই আসতে হয়েছে।

রাস্তায় আরও এক রিকশাচালক বলেন, স্বাভাবিক সময়ে দিনে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা ভাড়া হয়। গতকাল ৪০০ টাকা ভাড়া পেয়েছিলাম। আজও তেমন হবে বলে মনে হচ্ছে। অন্য সময়ের তুলনায় এখন রিকশা ভাড়া একটু বেশি। কারণ আমরা ভাড়া খুব কম পাচ্ছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত