ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ঈদযাত্রায় সড়কে প্রাণ গেলো ২০৭ জনের

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২১, ১৬:৫৫  
আপডেট :
 ২৬ জুলাই ২০২১, ১৭:০৪

ঈদযাত্রায় সড়কে প্রাণ গেলো ২০৭ জনের
ফাইল ছবি

ঈদুল আজহার আগে-পরের ১১ দিনে সারাদেশে ১৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৮৯ জন। ১১ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছে। ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ঈদুল আজহার আগে-পরে ১৪ দিনে ১৮৭টি দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত হয়েছিল। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিলেন ১৬.৩৫ জন। এবারের ঈদুল আজহার আগে-পরে ১১ দিনে নিহত হয়েছেন ২০৭ জন। প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছে ১৮.৮১ জন। এই হিসেবে প্রাণহানি বেড়েছে ১৫.০৪ শতাংশ।

এতে আরো বলা হয়, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। ৭৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮৭ জন।

এই সময়ে ৪টি নৌ দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছে। রেলপথে ২টি দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনা নিহতের মধ্যে রয়েছে- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ৮৭ জন, বাসযাত্রী ১২ জন, ট্রাক-পিকআপযাত্রী ৮ জন, মাইক্রোবাস-প্রইভেটকারযাত্রী ১৩ জন, থ্রি-হুইলারযাত্রী (সিএনজি-ইজিবাইক-অটোরিকশা) ৩১ জন, নসিমন-মাহিন্দ্র-চান্দের গাড়িযাত্রী ১০, বাইসাইকেল আরোহী ৩ জন আছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৫৯টি (৩৭.৩৪%) জাতীয় মহাসড়কে, ৬৬টি (৪১.৭৭%) আঞ্চলিক সড়কে, ১৪টি (৮.৮৬%) গ্রামীণ সড়কে এবং ১৯টি (১২.০২%) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৬.৯৬%, সকালে ১৮.৩৫%, দুপুরে ২২.১৫%, বিকালে ২৪.৬৮%, সন্ধ্যায় ১১.৩৯% এবং রাতে ১৬.৪৫%।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৩৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৮ জন। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। ৪টি দুর্ঘটনায় নিহত ৪ জন। একক জেলা হিসেবে রংপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। সেখানে ৫টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হন।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকাসহ ১০টি কারণ চিহ্নিত করেছে। দুর্ঘটনা কমাতে তারা দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি; চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বাড়ানোসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশও করেছে। তার বলছে, সড়ক পরিবহন আইনের বাধাহীন বাস্তবায়ন অতি জরুরি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত