ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

রুপপুরে করোনা পরীক্ষার ১১টি বুথ বন্ধ ঘোষণা

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২১, ২৩:৩০

রুপপুরে করোনা পরীক্ষার ১১টি বুথ বন্ধ ঘোষণা
ছবি- সংগৃহীত

রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষাকারী ১১টি বুথ বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নিজস্ব ল্যাব না থাকা ও অনিয়মের অভিযোগে এসব বুথ বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

গত ১৮ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) ডাঃ মোঃ ফরিদ হোসেন মিঞা স্বাক্ষরিত পাবনা সিভিল সার্জন বরাবর পাঠানো এক পত্রে এ নির্দেশ দিয়েছেন। পাবনার সিভিল সার্জন মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যদিও করোনার নমুনা সংগ্রহকারী এসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা অনুমতিপ্রাপ্ত হয়েই সেবামূলক ব্যবসাটি করে আসছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগরীর ডিএনএ সল্যুশনসহ আর-টিপিসিআর পরীক্ষার অনুমোদনপ্রাপ্ত বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিভিল সার্জন পাবনা এর কাছ থেকে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি নিয়েছিল। তারা রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন রোগীদরে নমুনা সংগ্রহ করত। এরপর ঢাকায় নিয়ে আরটিপিসিআরে পরীক্ষা করছে। এতে করে নমুনা সংগ্রহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অসম প্রতিয়োগিতাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে ঢাকা মহানগরী ও দেশের অন্যান্য জেলায় অবস্থিত বেসরকারি আর-টিপিসিআর পরীক্ষার জন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে নমুনা সংগ্রহের কোন বুথ স্থাপনের অনুমতি প্রদান রহিত করা হয়েছে। একই সাথে ঢাকাস্থ ডিএনএ সল্যুশান নামক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানের বুথসহ নমুনা সংগ্রহের অনুমতি প্রদান বাতিল ঘোষনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা মহানগরীস্থ ডিএনএ সল্যুশনসহ আরটি-পিসিআর পরীক্ষার অনুমোদন প্রাপ্ত ও পাবনা সিভিল সার্জনের শর্তসাপেক্ষ অনুমতি নিয়ে তারা কাজ করছিল। হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নেয়াতে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্রে বেসরকারি ভাবে স্থাপিত ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ খাঁন বলেন, গুনগত মান ঠিক রেখে তারা বেসরকারিভাবে রুপপুর পারমানবিক প্রকল্প এলাকায় করোনার নমুনা সংগ্রহসহ পরীক্ষার কাজ করে আসছেন। নিয়ম অনুসরণ করে বিশেষ এলাকার ভেতরে তারা নমুনা সংগ্রহ করে থাকেন। তাদের দেয়া রিপোর্টও সঠিক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নেয়ায় তারা বিপাকে পড়েছেন বলে জানান।

পাবনা জেলা সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী যে সকল প্রতিষ্ঠানের করোনা পরীক্ষার ল্যাবসহ বুথ রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলবে। বন্ধ করে দেয়া ১১ টি প্রতিষ্ঠানের কোনটারই নিজস্ব ল্যাব নেই। তারা নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনে। এই ক্ষেত্রে সঠিক পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই সকল প্রতিষ্ঠান এই করোনা পরীক্ষার নামে তাদের মধ্যে অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। তাই ল্যব ছাড়া সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এটি স্থানীয়ভাবে নেয়া কোন সিদ্ধান্ত নয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত