ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

পরকীয়ার জেরে ঘুমন্ত স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্ত্রী

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২১, ১৮:২২

পরকীয়ার জেরে ঘুমন্ত স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্ত্রী
ছবি- প্রতিনিধি

পরকীয়ার জেরেই স্বামী জলিলকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করলেন স্ত্রী মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানী। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে এমন তথ্য। এছাড়াও হত্যায় ব্যবহৃত আলামত সংগ্রহ করে পুলিশের বিশেষ টিম।

বুধবার মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানীকে ১৬৪ দারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন এসপি (এ সার্কেল) মারুফা জামাল। মমিনা বেগম লালমনিরহাট পৌরসভার সাপটানা মাজাপাড়া এলাকার মোল্লা মিয়ার মেয়ে।

জানা যায়, জলিলের কুলখানি শেষে জলিলের বড় ভাই আব্দুর রশিদ ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মমিনা বেগমকে বলেন, তুমি আমাদের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে চলো। তখন মমিনা রেগে বলেন, আমি আপনাদের বাড়ি আর কোনোদিনই যাবো না। আমি এখানেই আবার বিয়ে করবো এবং এখানেই থাকবো। মমিনা বেগমের এ কথা শোনার পর রশিদের সন্দেহ হয়। এ কারণেই পরেরদিন (২৫ জুলাই) তার ছোট ভাই জলিলকে হত্যা করা হয়েছে বলে এসপি বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ওইদিনই পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামালের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ বিভিন্নভাবে তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে কোনো ক্লু পাচ্ছিলো না পুলিশ। পরে ফোনকল যাচাই করে মঙ্গলবার সকালে ৪ জনকে এসপির কার্যালয়ে নিয়ে এসে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে জলিলকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানী। হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় পরে বাকি দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এর আগে ঈদের দ্বিতীয় দিনে একসঙ্গেই ছিলেন মমিনার পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানী ও আব্দুল জলিল। ওইদিন গভীর রাতে পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী কৌশলে জলিলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ওদিকে অপেক্ষারত স্ত্রী মমিনা বেগম স্বামী ঘুমিয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বালিশচাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত হলে ভোরের দিকে মমিনা বেগম চিৎকার শুরু করে। পরে আশপাশের লোকজন এসে জলিলের নাকে ও মুখে রক্ত বের হতে দেখেন এবং পরকীয়া প্রেমিক পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী মৃত্যু নিশ্চিত করে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করেন।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহা আলম বলেন, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জলিলকে হত্যা করা হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত হতে পেরেছে। নিহতের স্ত্রী মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানী সরাসরি হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত। সকালে তাদের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত আদেশ দিলে ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনে কবর থেকে লাশ তোলা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত