ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

কলাপাড়ায় ড্রাগন চাষে সফলতা

  উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২১, ১৩:৩৮  
আপডেট :
 ০৭ আগস্ট ২০২১, ১৫:৫১

কলাপাড়ায় ড্রাগন চাষে সফলতা

ড্রাগন চাষ করে সফলতা পেয়েছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সৌখিন চাষী মো. মোস্তফা জামান। পুষ্টি গুণের কারণে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এ ফল।

তাই শখের বসে উপজেলার অজোপাড়াগাঁ বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনীপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে ২০১২ সালে চার একর জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেন।

কোনো প্রকার রাসানিক ঔষুধ ছাড়াই ৮ মাসের মাথায় ফল আসতে শুরু করে। এরপর ২০১৮ সালে তিনি বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন চাষে সক্ষম হয়। বর্তমানে একটি সমন্বিত বাগান হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

এতে তার প্রায় দুই লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে। এই বাগান থেকে কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, পরিবারের সদস্যদের উৎসাহ এবং উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক ড্রাগনের বাগান গড়ে তুলেন। এর পাশাপাশি কলা, লিচু, পেয়ারা, মাল্টা, পেঁপে, এলাচসহ অন্যান্য ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছে।

এছাড়া রয়েছে মাছের ঘের, গরু, দেশি মুরগী খামার। তারই অনুপ্রেরণায় ওই ইউনিয়নসহ উপজেলায় একাধিক খামার গড়ে উঠেছে। অনেক বেকার যুবকদের সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান।

সৌখিন ড্রাগন চাষী মো. মোস্তফা জামান বলেন, তার খামারে ভিয়েতনামের ড্রাগন (বারি-১) এবং স্থানীয় দেশি প্রজাতির ড্রাগনসহ লাল, সাদা, হলুদ এবং গোলাপি এই চার রংয়ের ড্রাগন উৎপাদন হয়েছে।

এর মধ্যে লাল রংয়ের ড্রাগনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। এছাড়া কৃষি খামারে সাগর, অগ্নিসাগর, সরবি, মোঁচাবিহীন, ভিতরে লাল রংয়ের একাধিক প্রজাতির কলা রয়েছে।

তার খামার উন্নয়নের জন্য সহায়তা করেছেন পটুয়াখালী হর্টিকালচার, উপজেলা কৃষি অফিস এবং ব্লু-গোল্ড।

কিছু দিন পূর্বে উপজেলা কৃষি অফিস তার কাছ থেকে কাটিং ক্রয় করে আগ্রহী চাষিদের মাঝে বিতরণ করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম হুমায়ুন কবির বলেন, তার এ বাগান দেখে এলাকার বেকার যুবকেরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আমিও মোস্তফার ড্রাগন বাগান ঘুরে দেখেছি।

ব্লু-গোল্ডের সিডিএফ প্রোপ্রামের কর্মকর্তা মো.মাজিদুল ইসলাম জানান, কৃষকের আর্থসামাজিক এবং কৃষি উন্নয়নে মৎস, কৃষি এবং প্রানীসম্পদ অফিসের সাথে সমন্বয় সাধন করে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য, বীজ বিপননের ব্যাবস্থা করে ব্লু-গোল্ড।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, ড্রাগন একটি জনপ্রিয় ফল। এ উপজেলা এসএসবি প্রকল্পের আওতায় সাতটি ড্রাগন বাগান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে মোস্তফা জামান বাগানটি উল্লেখযোগ্য।

ড্রাগন বাগান সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। নুতন উদ্যোক্তাদের সকল ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান করে সার বীজ এবং চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে সহায়তা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত