ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

শোক দিবসে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২১, ১৬:২৬  
আপডেট :
 ১৬ আগস্ট ২০২১, ২৩:১৯

শোক দিবসে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের উদ্যোগে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. এখলাসুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের সময় তখনকার প্রশাসন এবং দায়িত্বশীলদের ভূমিকা কি ছিলো তা তদন্ত করতে একটি কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছেন আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. এখলাসুর রহমান।

সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

পরিবার পরিজনসহ বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারি যথেষ্ট নয়, সার্বিক অবস্থা উদঘাটনের জন্য একটা কমিশন গঠন হওয়া প্রয়োজন। সেই কমিশন তদন্ত করে জানাবে- ওই সময় সশস্ত্র বাহিনীর তিন প্রধান, বিডিআর, রক্ষীবাহিনী ও পুলিশের ভূমিকা কি ছিলো? আর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরাও কি করেছেন? তদন্ত কমিশন করা হলেই সব বেরিয়ে আসবে।

হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীসহ কয়েকজন জাতীয় নেতার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞ। কেননা তিনি আমাদের একটা মানচিত্র দিয়েছেন। যেটা অন্য জাতীয় নেতৃবৃন্দ দিয়ে যেতে পারেননি।

অধ্যক্ষ এখলাসুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু খুবই সাহসী ছিলেন। উনাকে নিয়ে কিউবার রাষ্ট্রপ্রধান কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বলেছেন, আমি হিমালয় দেখিনি, তবে আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি।

বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শাহজাহান সরদার বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, কোনো বাঙালি তাকে হত্যা করবে এ কথা তিনি কোনদিন আমলে আনেননি। বিশ্বের অনেক দেশ এবং বাংলাদেশেরও অনেকে সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু তিনি তা বিশ্বাস করতে পারেননি। জীবন দিয়ে তিনি বাঙালিদের বিশ্বাস করে গেছেন।

বিশিষ্ট সাংবাদিক শাহজাহান সরদার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেন, এ রকম নৃশংস হত্যাকাণ্ড বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। সেই ১৫ আগস্টের হত্যাকারী দেশি-বিদেশি দোসররা আজও সক্রিয়। তাই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক বঙ্গবন্ধুর প্রতি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বাংলাদেশ না হলে এখানে আমরা যারা আছি তারা এ অবস্থায় থাকতে পারতাম না। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কারণে।

স্বাগত বক্তব্যে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো, কিন্তু তাকে ১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। জাতি তার কাছে কৃতজ্ঞ। এই ইতিহাস ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে তুলে ধরতে হবে।

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের নিউরোমেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও বিশিষ্ট নিউরো বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আহমেদ কোরাইশি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত। কারণ বঙ্গবন্ধু না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। দেশের স্বাধীনতা নস্যাৎ ও ধ্বংস করতেই এই (বঙ্গবন্ধুকে হত্যা) কুকর্ম।

অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ কোরাইশি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে নষ্ট করার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে প্ল্যান করে হত্যা করা হয়েছে। এই প্ল্যান অনেক আগে থেকেই করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এটাতে সফল হতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটা আজ আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা অনেকেই আজ এই অবস্থায় নাও থাকতে পারতাম। ওনি আর কিছুদিন বেঁচে থাকলে আমরা আরও উপকৃত ও সমৃদ্ধ হতাম।

সভায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন, অধ্যাপক সেহেরীন ফরহাদ সিদ্দিকা, অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ, ডা. হাসান আলী মাসুম, ডা. শারমীন আব্বাসি, অধ্যাপক ডা. সোহা জেসমিন, ডা. মুনিয়া সুলতানা, অধ্যাপক ডা. রাজিবুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের উদ্যোগে এক শোক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ থেকে বের হয়ে ধানমণ্ডি ৭ নাম্বার সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কলেজে এসে শেষ হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত