ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

এক মিনিটে দুই ডোজ টিকা দেয়ার অভিযোগ

  নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২১, ০০:৩৯

এক মিনিটে দুই ডোজ টিকা দেয়ার অভিযোগ

নেত্রকোনায় এক মিনিটের মধ্যে দুই ডোজ করোনার টিকা দেয়া হয়েছে বলে জজ মিয়া (৩৯) নামে এক মুদি দোকানির অভিযোগ। বুধবার নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

মোহনগঞ্জ পৌর শহরের আল মবিন রোডের বাসিন্দা মুদি দোকানি জজ মিয়া জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিতে যান তিনি।

এক মিনিটের ব্যবধানে তাকে দুই ডোজ টিকা দেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) আলমগীর হোসেন।

জজ মিয়া বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন ভবন টিকা নিতে যাই। টিকা পুশকারী আলমগীর হোসেন প্রথমে ডান হাতে একটি টিকা পুশ করেন। এরপর আলমগীর টিকার কাগজ দেখতে চান।

কাগজপত্র দেখানোর পর ডান হাতের একই স্থানে আরেকটি টিকা পুশ করেন। দুটি টিকা গ্রহণ করার বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলাম। এতে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে কি না, তা জানতে হাসপাতালের টিএইচও নূর মোহাম্মদ শামছুল আলমের কাছে গিয়েছিলাম।

তবে তিনি কোনো ধরনের পরাশর্ম না দিয়ে উল্টো আমার প্রতি রেগে গিয়ে বলেন, এই টিকা এন্টিভাইরাস। এতে কোনো সমস্যা নেই। টিকা নেয়ার পর বিকাল থেকেই ভীষণ জ্বর ও মাথা ব্যথায় ভুগছি।

২৪ ঘণ্টা আমাকে অবজারভেশনে রাখবে বলেছিলেন টি এইচও। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালের কেউ এখানো আমার খোঁজ নেয়নি। এতে করে ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। জানি না কী হয়।

আলমগীর হোসেন বিষয়টি মিথ্যা উল্লেখ করে বলেন, দুটি টিকা কেন দেব? দুটি টিকা দিলেও তো সময় লাগে? তবে জজ মিয়া আবার হাসপাতালে এলে তার হাত চেক করে তাকে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। দুটি টিকা দিলে দুটি ছিদ্র থাকত।

এদিকে টিকা নেয়া শেষে জজ মিয়া এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে বিষয়টি জানালে দুই বার টিকা নেয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর মোহাম্মদ শামছুল আলমের সঙ্গে কথা বলতে কয়েক দফা ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া বলেন, টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে হাসপতাল কর্তৃপক্ষ ও টিকা গ্রহণকারীসহ সকলকেই সতর্ক থাকা উচিত। টিকা গ্রহণকারীকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলব।

তিনি আরও বলেন, দেশের আরও কয়েকটি জেলায় এমন ঘটনা ঘটেছিল। তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। জজ মিয়ার বেলায়ও তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত