ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

বন্যার কারণে স্কুল খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:১৮  
আপডেট :
 ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:২১

বন্যার কারণে স্কুল খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা
বন্যার পানিতে প্লাবিত স্কুল, ছবি: প্রতিনিধি।

রাজবাড়ীতে চলতি বন্যায় পদ্মা সংলগ্ন ও বেড়ি বাঁধের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত ২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লবিত হয়েছে। এরই মধ্যে দেড় বছর পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও বন্যার কারণে প্লাবিত এ স্কুল গুলোর পাঠ দান কার্যক্রম নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন কতৃপক্ষ ও অভিভাবকরা।

তবে শিক্ষা অধিদপ্তর মনে করছেন বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে বন্যা কবলিত যে স্কুল গুলো থেকে পানি নেমে যাবে সে স্কুলে পাঠদান শুরু করতে পারবেন। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নে অবস্থিত তেনাপচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদরের চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে হাটু সমান পানি।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। বন্যার পানির এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের কাঠুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালবাড়ি, মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাংশা, গোয়ালন্দ ও কালুখালী উপজেলার চর আফরা, পূর্ব চর আফরা ও চর রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

দৌলতদিয়ার চাঁদখান পাড়া দৌলতদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেনাপচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বেতকা, দেবগ্রাম, মজলিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পদ্মা সংলগ্ন চরাঞ্চল ও নিচু এলাকায় অবস্থিত জেলার ২৪টি বিদ্যালয় এখন পাঠদানের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।

তেনাপচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা হালিমা খাতুন বলেন, পানি কিছুটা কমলেও এখন পানি ও কাদার কারণে আগামী ১২ তারিখ থেকে স্কুল খোলা রেখে পাঠদান করা সম্ভব নয়।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, একদিকে করোনার বন্ধ অন্যদিকে বন্যার পানিতে বাচ্চাদের স্কুলের পড়াশোনা বাঁধা পাচ্ছে। কিন্তু বন্যার পানির কারণে স্কুল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এখন তাদের সন্তানদের কিভাবে স্কুলে পাঠাবেন সে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন। শিক্ষার্থীরাও তাদের বিদ্যালয় পানির কারণে স্কুলে যেতে না পারার কথা জানায়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, জেলার নিচু এলাকার ২৪টি স্কুলে বন্যার পানি উঠেছে। যে স্কুল গুলোতে ক্লাস নেয়া সম্ভব সেগুলো খুলে দেয়া হবে এবং যে স্কুল গুলোতে পানি থাকবে সে স্কুল গুলো পানি শুকানোর পর ক্লাস শুরু করা হবে। এতে পড়াশোনায় তেমন কোন সমস্যা হবেনা শিক্ষার্থীদের।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত