ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

কালিয়াকৈরে ১৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস হয়নি

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:৪৮

কালিয়াকৈরে ১৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস হয়নি
ছবি: প্রতিনিধি

বিশ্ব মহামারী করোনার প্রার্দুভাবের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর ১২ সেপ্টেম্বর রোববার সরকারি নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ১৯টি বিদ্যালয় কক্ষে, মাঠে ও রাস্তায় বন্যার পানি থাকায় ক্লাস নেয়া সম্ভব হয়নি।

কালিয়াকৈর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলাম জানান, উপজেলার ১৯টি বিদ্যালয় কক্ষে, মাঠে ও স্কুলে আসার রাস্তায় বন্যার পানি থাকায় এসব বিদ্যালয়ে সরকারি ঘোষিত দিনে ক্লাস নেয়া সম্ভব হয়নি।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- উত্তর রাজাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মাঠে পানি), বাঁশতলী সরকারি প্রাথমিক দ্যিালয় (মাঠে পানি), বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মাঠে ৫ ফুট পানি), বাসুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে পানি), মুদিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কক্ষে পানি), কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মাঠে পানি ও শ্রেণিকক্ষের মাটি ধ্বসে গেছে), ঢালজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ((মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে পানি), বাঙ্গুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মাঠে পানি), চৌধুরীর টেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মাঠে দুই ফুট পানি), দেওয়াইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মাঠে তিন ফুট পানি), সেওড়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মাঠে পানি), সাদুল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মাঠে পানি), সেওড়াতলী বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মাঠে পানি ও টয়লেট ডুবে গেছে)।

এছাড়াও রয়েছে উপজেলার হেলেনা জাব্বার কুন্দাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মাঠের চারদিকে পানি), টেকিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (স্কুলের সামনের কাঁচা রাস্তা ভেঙ্গে গেছে), চাপাইর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ((স্কুলের মাঠে নদীর পানি উঠেছে), কাঁঠালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় পানি), টালাবহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় পানি) এবং বারবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় পানি)।

এসব প্রতিষ্ঠানের মাঠে শ্রেণিকক্ষে এবং রাস্তায় পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ক্লাস নেয়া সম্ভব হয়নি। পানি কমে গেলে পর্যায়ক্রমে এসব প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেয়া হবে বলে জানান প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলাম।

বাসুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মালেক হোসেন বলেন, বিদ্যালয় খোলার খবরে সকাল থেকেই শিক্ষর্থীরা বিদ্যালয় এসেছিল। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১০ জন। এর মধ্যে ৭০% উপস্থিতি ছিল। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসায় প্রথমদিন ক্লাস নেয়া হলেও পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ছুটি দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয় মাঠে বন্যার পানি থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনারোধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বন্যার পানি কমে গেলে আবার ক্লাস শুরু হবে।

বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র সরকার জানান, বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে তুরাগ নদী। সেখান থেকেই পানি বিদ্যালয়ের মাঠ ও বিদ্যালয়ে আসার পথ বন্যার অথই পানিতে ডুবে থাকায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। আজ তাদের বিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস হয়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন জানান, বিদ্যালয় মাঠে ও প্রবেশের সড়কে বন্যার পানি থাকায় কালিয়াকৈর উপজেলার ১৯টি বিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস হয়নি। বন্যার পানি কমে গেলে ক্লাস না হওয়া বিদ্যালয়গুলোতে যথারীতি ক্লাস নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ধরে রাখতে ওয়ার্কশিট, বাড়ির কাজ, অনলাইন ক্লাস, মোবাইল ফোন ও বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত