ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় দুইজনের ফাঁসি

  বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৩০  
আপডেট :
 ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৪৪

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় দুইজনের ফাঁসি
ব্যবসায়ী সোহাগ সেরনিয়াবাত

বরিশালের উজিরপুর পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পোষাক ব্যবসায়ী সোহাগ সেরনিয়াবাত হত্যা মামলার রায়ে ২ আসামিকে ফাঁসি এবং ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার ১০ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক টিএম মুসা এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণা সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এমরান পলাতক এবং অন্য সকল আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন নিহতের বাবা এবং বাদীপক্ষের আইনজীবী ও রাষ্ট্রপক্ষ।

অপরদিকে, এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি দাবি করে এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বলেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উজিরপুর সদরের ‘দাদা বাহিনী’ প্রধান পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউল হক লালন মহুরী এবং একই উপজেলার আটিপাড়া গ্রামের রিয়াদ সরদার। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- লালনের ভাই মামুন হাওলাদার ও এমরান হাওলাদার, বিপ্লব পাটনী এবং ওয়াসিম সরদার।

অপরদিকে, খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- তারেক হাওলাদার, বাবু দাস, শিমুল, সুজন মল্লিক, সোহাগ তালুকদার, আলতাফ হোসেন, সজিব, সুমন মোল্লা, আলমগীর ও বিপ্লব দাস।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, সৌদিফেরত সোহাগ সেরনিয়াবাত উজিরপুর সদরে ‘আলিফ ওয়ান ফ্যাশন’ নামে একটি পোষকের দোকান ছিলো। আসামিরা ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ইতিপূর্বে সোহাগের দোকান ভাঙচুর করে। চাঁদা না দেয়ায় সোহাগের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তারা। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোহাগ দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলে তার বন্ধু জাহাঙ্গীরকে স্থানীয় কালীখেলা নামিয়ে অপর বন্ধু সাইফুলকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়ির দিকে ফিরছিলো।

পৌর শহরের ভিআইপি রোডের হাঁসি ভিলা এলাকা অতিক্রমকালে সোহাগের মোটরসাইকেল থামায় আগে থেকে সেখানে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা। মোটরসাইকেল থামানোর সাথে সাথে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোহাগকে উপর্যপুরি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর সোহাগের মামা খোরশেদ আলম নান্টু বাদী হয়ে উজিরপুর থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১১ নভেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহাবুদ্দিন চৌধুরী ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে ৩১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক রায় ঘোষণা করলেন।

এই রায়ে সোহাগের পরিবার সন্তুষ্ট। তবে ১০ জন আসামি খালাস পাওয়ায় তাদরে বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেন নিহত সোহাগের বাবা ফারুক সেরনিয়াবাত। বাদীপক্ষের আইনজীবী একেএম আরিফুর রহমান খানও এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লস্কর নুরুল হকও সন্তুষ্ট।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীর দাবি, এই মামলার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী নেই। রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত