ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

কমছে পদ্মার পানি, বাড়ছে ভাঙন

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:০৬  
আপডেট :
 ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৩১

কমছে পদ্মার পানি, বাড়ছে ভাঙন
চর সিলিমপুর

পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র স্রোতের কারণে দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত দুই দিনের ভাঙনে রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের চর সিলিমপুর এলাকার শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধের ৫০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হুমকিতে পড়েছে ভাঙন এলাকায় থাকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বসবাসরত ২ শতাধিক পরিবার ও অন্যান্য স্থাপনা।

জানা গেছে, নির্মাণের তিন মাসের মধ্যেই নতুন নির্মিত তীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ৯টি স্থানে ৭ বার ভাঙন দেখা দেয়। এতে সাড়ে ৭০০ মিটার সিসি ব্লকে বাঁধানো তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বাঁধের ৭ কিলোমিটারের পুরো অংশ সিসি ব্লকের স্থানে স্থানে ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় এখন ভাঙন হুমকিতে পরেছে পুরো বাঁধ এলাকা।

কয়েকদিন আগেও পাশের ১৫ মিটার স্থান নদী গর্ভে বিলিন হয়। বার বার ভাঙনের কবলে পরে পুরো বাঁধ এখন ঝুঁকিপূর্ণ ও হুমকিতে পড়েছে। হুমকিতে পড়েছে শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ ও শত শত পারিবার। তবে ভাঙন এলাকায় যথেষ্ট বালুভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছে না বলে অভেযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানান, বড় বড় চাপের ফাটল তৈরি হয়ে মুহূর্তের মধ্যে চর সিলিমপুর স্কুলের পাশ থেকে প্রায় ৫০মিটার এলাকার সিসি ব্লক দেবে গেছে। এতে ওই এলাকার একটি স্কুল, মসজিদসহ অর্ধশত বসতবাড়ি ভাঙন হুমকিতে হয়েছে। দিন রাত ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর।

এছাড়া ভাঙন আতঙ্কে স্কুলটির মূল ভবনের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ টিনশেড ভবনে চলাচ্ছে পাঠদান ও অফিস কার্যক্রম এবং মূলভবন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বাঁধের কাজ ভাল না হওয়ায় দফায় দফায় ভাঙছে। ভোরে চর সিলিমপুর স্কুলের পাশ থেকে অনেকাংশের বাঁধের ব্লক নদীতে চলে গেছে এবং বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। রাতে ভয়ে তাদের ঘুম হয়নি। সারারাত নির্ঘুম কাটিয়েছেন। ভাঙনে ঘরবাড়ী হারানোর ভয়ে আছেন তারা। এছাড়া তাদের এলাকার একমাত্র স্কুলটি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বাচ্চাদের ভয়ে স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। ভাঙন রোধে যেভাবে কাজ হওয়া প্রয়োজন সেটিও হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, পানি কমে যাওয়ার সময় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে এ পর্যন্ত ২ হাজার জিও ব্যাগের বস্তা ডাম্পিং করা হয়েছে বং কাজ চলমান আছে। পরবর্তীতে পুরো ভাঙন এলাকা চিহ্নিত করে বালু ভর্তি বস্তা ডাম্পিং ও ব্লক বসিয়ে মেরামত করে দেবেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত